Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫

‌দীপাবলি এবং ছটপুজোতে দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ আতশবাজি

Green-fireworks

সমকালীন প্রতিবেদন : সবুজ প্যাকেটে থাকলেই সবুজ বাজি? আসলে "সবুজ বাজি" খায় না মাথায় দেয়? জানেন? কেনার সময় কী ভাবে বুঝবেন কোনটা আসল আর কোনটা নকল? সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির কেনাবেচা নিষিদ্ধ পশ্চিমবঙ্গে। তাই সবুজ আতশবাজি সম্পর্কে আগে সঠিক তথ্য রাখুন নিজের কাছে।

সরকারি তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দীপাবলি এবং ছটপুজোতে দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে সবুজ আতশবাজি। দীপাবলি উৎসবে সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টার জন্যই ব্যবহার করা যাবে। আর বড়দিন এবং ইংরাজি নববর্ষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিটের মধ্যে আতশবাজি ফাটানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

এই নির্দেশ লঙ্ঘনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হবে। এখন প্রশ্ন হল, সবুজ আতশবাজি কোনগুলো? সেটা তো জানা জরুরি। সিআইএসআর-নিরি (ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট)-র দীর্ঘ গবেষণার ফল হল "সবুজ বাজি"। জেনে রাখা প্রয়োজন, এই বাজিতে বেরিয়াম যৌগ ব্যবহার করা হয় না। সাধারণ বাজিতে ব্যবহৃত বেরিয়াম মোনোক্লোরাইড, বেরিয়াম নাইট্রেট ও বেরিয়াম ক্লোরেট আদতে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ আর বায়ুদূষণের কারণ হয়। 

কিন্তু এই সবুজ বাজি পোড়ালে বাষ্প বেরিয়ে আসে, তাই খুব বেশি ছাই, ধূলো উৎপন্ন হয় না। এই বাজি ফাটালে ১১০ থেকে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ উৎপন্ন হয় না। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সাধারণ বাজির তুলনায় এই বাজিতে ৩০ শতাংশ দূষণ কম হয়।

এবার জানাব কিভাবে কেনার সময় বুঝবেন কোনটা সবুজ বাজি? ‘নিরি’র কিউআর কোড অন্যান্য বাজি থেকে সবুজ বাজিকে আলাদা করে। কিন্তু তারপরেও কেনার সময় সতর্ক থাকতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী ভুয়ো কিউআর কোড দেখিয়ে বাজি বিক্রি করে থাকেন।

মূলত মোট ৩ ধরনের সবুজ বাজি বাজারে বিক্রি হয়।

ক) সোয়াস বা সেফ ওয়াটার রিলিজার : এই বাজি ফাটালে জলীয় বাষ্প নির্গত হয়। ফলে ৩০ শতাংশ কম ধূলিকণা বাতাসে মেশে। এতে সালফার বা পটাশিয়াম নাইট্রেট থাকে না।

খ) স্টার বা সেফ থার্মাইট ক্র্যাকার : এতে পটাশিয়াম নাইট্রেট বা সালফার থাকে না। কম কণা নির্গত করে। আর শব্দের তীব্রতাও অন্যান্য বাজির তুলনায় কম।

গ) সফল : এতে কম মাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম এবং বেশি ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এতেও শব্দদূষণের মাত্রা কম হয়।

উল্লেখ্য, সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজি কেনাবেচা নিষিদ্ধ বাংলার বুকে। ২০২১ সালে বাজি ফাটানো সংক্রান্ত বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পৌঁছে যায় উচ্চ আদালত হয়ে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে সে বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড সবুজ আতশবাজি ছাড়া সমস্ত ধরনের আতশবাজির আমদানি, ক্রয়, বিক্রয়, মজুত এবং ব্যবহার রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ করেছিল। 

এক্ষেত্রে এমনকি বেঁধে দিয়েছিল আতশবাজি ফাটানোর সময়ও। সেটাই বলবৎ থাকছে এ বছরও। পাশাপাশি শব্দবাজি নিয়ে যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে, তবে তা সরাসরি জানাতে পারবেন সরকারকে। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হেল্পলাইন নম্বরটাও জানিয়ে দিয়েছেন মানুষকে।‌‌ নম্বরটি হল– ১৮০০৩৪৫৩৩৯০ । প্রয়োজনে এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যেতে পারে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন