Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, পাঁচজনই পুলিশের জালে

 

Durgapur-gang-rape-case

সমকালীন প্রতিবেদন : দুর্গাপুরের গণধর্ষণকাণ্ডে শেষ অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বয়ানে যাঁদের নাম উঠে এসেছিল—সেই পাঁচজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শেষপর্যন্ত ধৃতদের মধ্যে এক জনকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারী দল। রবিবার গভীর রাতে ওই অভিযুক্তকে দুর্গাপুরেরই একটি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।‌

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। রবিবার রাতে ধরা পড়ে চতুর্থ অভিযুক্ত। এরপর সোমবার ভোরে পুলিশের জালে ধরা পড়ে পঞ্চম তথা মূল অভিযুক্ত—যে দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। বাকি তিনজন ইতিমধ্যেই ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, “সকলের ভূমিকা স্পষ্ট হচ্ছে। প্রত্যেকের কাছ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে।”

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্রী তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে ডিনারে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফেরার পথে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের পথ আটকায় এবং তরুণীকে জোর করে একটি নির্জন জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ও ৩ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কিছুক্ষণ পর রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাঁর বন্ধু। বর্তমানে নির্যাতিতা দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে খবর, মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের ইঙ্গিত স্পষ্ট। নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষতচিহ্ন ও প্রচুর রক্তপাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “চোটের প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, যৌন নির্যাতনের জেরেই রক্তপাত হয়েছে।” তবে তরুণীর শারীরিক অবস্থা এখন আর আশঙ্কাজনক নয়, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস। সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তিনি হাওড়া স্টেশন থেকে গাড়িতে করে দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এই জঘন্য ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দোষীরা যে-ই হোক, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, “আমি প্রথমে হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলব। তারপর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করব।”






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন