সমকালীন প্রতিবেদন : বর্ষা এবার একেবারে জোরকদমে হাজির। দেশের একাধিক প্রান্তে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কেউ কেউ গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেও, অনেক অঞ্চলে বন্যা ও জলজটের মতো সমস্যাও দেখা দিয়েছে। এমন আবহের মাঝেই ভারতের আবহাওয়া দফতর ৩ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত একটানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশেষত পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির জন্য। বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা তার রূপ দেখাতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৭ জুলাই রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মূলত মেঘলা আকাশ ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে একাধিক আবহাওয়াগত কারণ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে ওড়িশা ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা বিস্তৃত। একইসঙ্গে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। এই তিনটি ব্যবস্থার মিলিত প্রভাবে বাংলায় বৃষ্টিপাত জোরালো হবে।
উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে বৃষ্টির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম থাকলেও সোমবার থেকে আবার ভারী বৃষ্টির নতুন ধারা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার—এই পাঁচটি জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দিনাজপুরের দুই জেলাতেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যদিও শনিবার ও রবিবার বৃষ্টির একটি সংক্ষিপ্ত বিরতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে, তবে সোমবার থেকে ফের সক্রিয় হবে বর্ষা।
রাজ্যের রাজধানী কলকাতাতেও বৃষ্টির প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত শহরে দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়া সহ এই বৃষ্টি শহরের জল জমার চেনা চিত্র ফেরাতে পারে। তবে সোমবার থেকে শহরে বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন