Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

পহেলগাঁও কান্ডে হাফিজ সইদ জড়িত? হাফিজের নিরাপত্তা বা‌ড়ালো পাকিস্তান

 ‌

Is-Hafiz-involved-in-Pahalgaon-incident?

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌পহেলগাঁও কাণ্ডে কি ২৬/১১-র চক্রী হাফিজ সইদ জড়িত? ফুল অ্যাকশন মোডে ভারত! যখন তখন প্রত্যাঘাতের ভয়? লস্কর প্রধান হাফিজের নিরাপত্তা বাড়ল চার গুণ। ঠিক কিভাবে তাকে রাখা হচ্ছে সেফ? হাফিজকে রক্ষা করতে কি প্ল্যান সাজিয়েছে পাকিস্তান? যখন জঙ্গি বাঁচাতে ব্যস্ত ইসলামাবাদ, তখন মোদির নিশানায় ডোভাল? ছাঁটা হল ডানা? আরও এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। প্রত্যাঘাত, প্রতিশোধের প্রস্তুতির মধ্যেই ভারতে পাক বিমানের জন্য আকাশসীমা করা হল বন্ধ। 

পহেলগাঁওয়ের বদলা নেওয়ার ব্লুপ্রিন্ট কেমন ভাবে সাজিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? যখন এই ভাবনায় দেশ তোলপাড় ঠিক তখনই মোদি দিলেন সবুজ সংকেত। ইন্ডিয়ান আর্মিকে দিলেন 'ফ্রি হ্যান্ড'। পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব কিভাবে? এই বিষয়ে যখন বাহিনী পেল পূর্ণ স্বাধীনতা, আর তারপরই ভয়ে থরথরিয়ে কাঁপা শুরু পাকিস্তানের। প্রত্যাঘাতের ভয়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদের নিরাপত্তা প্রায় চারগুণ বাড়ান হল। 

উল্লেখ্য, এই হাফিজ সইদকেই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক সেই কারণেই কি তাহলে হাফিজকে রক্ষার মরিয়া চেষ্টা? সূত্রের খবর, লাহোরে সইদের বাড়ির চারপাশে ব্যাপক নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হাফিজের নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই কোনরকম ত্রুটি রাখছে না। লস্কর প্রধানের বাড়ির চার কিলোমিটার ব্যাসার্ধ জুড়ে উচ্চ রেজোলিউশনের সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশ এবং আধাসেনার পাশাপাশি সশস্ত্র লস্কর বাহিনীকেও দেখা গিয়েছে এলাকায়। চলছে ড্রোনে নজরদারিও।

আসলে হাফিজকে নিয়ে পাকিস্তান কোনোরকম রিস্ক নিতে চাইছে না। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু কাশ্মীরে কাজ চালানো ছায়া সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসবাদী আদর্শে দীক্ষিত করাই শুধু নয়, সীমান্তের ওপার থেকে পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত সাহায্যও জোগায় হাফিজ। না বিষয়টা এতোটুকুই নয়। লস্করের ‘ছায়া সংগঠন’ ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ মানে টিআরএফ প্রথমে ২২ জুলাই পহেলগাঁও কাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করে। কিন্তু তাতে কি? 

ইতিমধ্যেই লস্কর সহ ভারতবিরোধী বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নেতা পাকিস্তানে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। রহস্যজনক মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। এই পরিস্থিতিতে হাফিজের নিরাপত্তা নিয়ে কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না পাক সেনা। অন্যদিকে, পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সাত বছর পরে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ পুনর্গঠন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। 

সূত্রের খবর, ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক জোশী উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান হচ্ছেন। অথচ প্রধানমন্ত্রী মোদীর জমানায় সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালই কার্যত একচ্ছত্র দায়িত্ব পালন করেছেন। তাহলে কি পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জেরে তাঁর ভূমিকা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রশ্ন ওটাই তো স্বাভাবিক। কারণ, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম পুনর্গঠিত হল জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্ষদ। তবে শুধু এক্ষেত্রেই যে চেঞ্জেস আনা হয়েছে, তা নয়। অলরেডি পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত, নয়াদিল্লির তরফে এই ঘোষণাও করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় তাদের কোনও হাত নেই, প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে পাকিস্তান। 

তবে ভারত এই ঘটনায় ইসলামাবাদকেই দায়ী করেছে। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করেছে ভারত। এর পর পাকিস্তানও কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া। বলা হয়েছিল, ভারতের কোনও বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সেই ঘোষণার ছ’দিনের মধ্যে ভারতও অনুরূপ পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন