সমকালীন প্রতিবেদন : বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শ্যালিকাকে মদ খাইয়ে পরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এই অপরাধ ধামাচাপা দিতে শ্যালিকাকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর চরম শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা।
গাইঘাটা থানার সুটিয়া গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ এপ্রিল। সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্য জগদীসচন্দ্র বাগচির অভিযোগ, আক্রান্ত নাবালিকার জামাইবাবু আশিষ ঘোষ এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।
আক্রান্তের মায়ের অভিযোগ, ঘটনার দিন আশিষ ঘোষ তাঁর মেয়েকে জেঠার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অন্যত্র নিয়ে যায়। এরপর সেখানে মেয়েকে মদ খাইয়ে তার উপর শারীরিক নির্যাতন করে। এরপর ওই নাবালিকাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
এই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। আর সেটা জানতো আশিষ। বাড়ি ফিরেন ওই নাবালিকা তার মাকে ফোন করে ঘটনার কিছুটা আভাস দিয়ে দ্রুত বাড়িতে চলে আসতে বলেন। কিন্তু পুরোটা বলার আগেই আশিষ ফোন কেড়ে নেয়।
এরপর বারে বারে মেয়েকে ফোন করেও আর মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ পান নি নাবালিকার মা। বেশ কিছুক্ষণ পর তার মা বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের ভেতরে মেয়ের দেহ ঝুলছে। এই ঘটনার জন্য আশিষকে দায়ী করে গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।
মৃত নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, অপরাধ ধামাচাপা দিতে আশিষ তাঁর মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ১০ দিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারে নি।
এদিকে অভিযুক্ত আশিষ ঘোষকে গ্রেপ্তার করে তার ফাঁসির দাবিতে শনিবার হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন নির্যতিতার পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। তাঁদের প্রত্যেকের একটাই দাবি, অবিলম্বে আশিষকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে পরে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এই আন্দোলন আরও তীব্রতর করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন