সমকালীন প্রতিবেদন : এজবাস্টনে চলছে ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্ট। জসপ্রীত বুমরাহর বিশ্রাম নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে চমকে দিলেন মহম্মদ সিরাজ। বল হাতে দুরন্ত ছন্দে ফিরে এনে দিলেন ভারতকে ম্যাচে।
প্রথম ইনিংসে সিরাজের ঝলকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ড। হায়দরাবাদের এই ডানহাতি পেসার তুলে নিলেন ৭০ রানে ৬ উইকেট। এটি টেস্ট কেরিয়ারে সিরাজের চতুর্থ ইনিংসে পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি। তাঁর দাপটেই ব্যাটিং সহায়ক পিচে মাত্র ২১৮ রানে গুটিয়ে যায় বেন স্টোকসের দল।
অন্যদিকে, অভিষিক্ত আকাশদীপও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। হ্যারি ব্রুক ও ক্রিস ওকসের মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং মেরুদণ্ডে আঘাত হেনেছেন তিনি। আর এরপর সিরাজ নিজের অভিজ্ঞতা ও আগ্রাসী বোলিংয়ে দ্রুত বাকিটুকু সেরে দেন। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের সঙ্গে মিলে ভারতের তরুণ বোলিং ইউনিটকে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিরাজ বলেন, ‘‘বুমরাহর মতো সিনিয়র কেউ না থাকলে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। তবে সেটা চাপ নয়, বরং উপভোগ করার মতো বিষয়। পিচ ছিল মন্থর, তাই বাড়তি কিছু করার চেষ্টা না করে লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করেছি। পরিকল্পনা ছিল প্রতিপক্ষ যেন সহজে রান না নিতে পারে।’’
সিরাজ আরও যোগ করেন, ‘‘আমি সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসি। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিলাম এমন একটা পারফরম্যান্সের জন্য। আগেও এখানে ৪ উইকেট পেয়েছিলাম, এবার ৬ উইকেট পেয়ে দারুণ লাগছে। যখন ভাল বল করেও উইকেট আসছিল না, তখন হতাশ লাগত। আজ সেই অপেক্ষার ফল পেলাম।’’
অভিজ্ঞ এই বোলার জানিয়েছেন, নবাগত বোলারদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। সতীর্থদের সাহস জোগান, দেন পরামর্শ—কোন ব্যাটারকে কীভাবে আউট করা যায়। সিরাজ বলেন, _‘‘আকাশদীপ ও প্রসিদ্ধ খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। তাই আমি চাই তারা যেন চাপে না পড়ে। আমি চেষ্টা করি ধারাবাহিকভাবে বল করে ইংল্যান্ডকে চাপে রাখতে। দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত আছি।’’
যেখানে অনেকেই ভেবেছিলেন বুমরাহ না থাকলে ভারতের বোলিং হাল ধরবে কে, সেখানে মহম্মদ সিরাজই প্রমাণ করে দিলেন—তিনি তৈরি, দায়িত্ব নিতে জানেন, আর চাপের মুখে সেরা খেলাটাই বার করে আনতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন