সমকালীন প্রতিবেদন : ঘটনাস্থল কর্ণাটকের রায়চুর জেলার দেবাসুগুর গ্রাম। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কৃষ্ণা নদী। সেই নদী থেকেই উদ্ধার হয়েছে একাধিক মূর্তি। জানা গেছে, এক মাঝি নদী থেকে মূর্তিগুলি উদ্ধার করেন। তারপর তিনি দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনে খবর পাঠান।
পরে মূর্তিগুলি উদ্ধার হয় সরকারি নিয়মে। জানা গেছে, নদীগর্ভ থেকে উদ্ধার হয়েছে এক প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি। আর একটি শিবের। এরকম অবশ্য প্রায়ই হয়। এর মধ্যে আপাতভাবে নতুন কিছু নেই। তবে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
কারণ, এবারের এই মূর্তি উদ্ধারের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে এক বিশেষ ব্যাপার। তা হল, কয়েকদিন আগে অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত রামলালার মূর্তির সঙ্গে উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তিটির অনেকাংশে মিল রয়েছে!
আর এতেই তাক লেগে গিয়েছে সকলের। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বিষয়টি নিয়ে খুবই উত্তেজিত। তাঁদের অনেকেই অযোধ্যার রামমন্দিরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত রামলালার মূর্তির সঙ্গে নদী থেকে উদ্ধারকৃত প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তির মিল দেখে স্তম্ভিত!
কিন্তু এটি কি আদৌ সত্যি? এই মূর্তির রহস্য নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত কী রয়েছে? বিষয়টি ব্যাখ্যা করে প্রাচীন ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক ড. পদ্মজা দেশাই বলেন, রামলালা যেমন একটি পেডেস্টালের উপর স্থাপিত, তেমনই এই বিষ্ণুমূর্তিও একটি পেডেস্টালে স্থাপিত।
রামলালার মূর্তির চারপাশে যেমন দশাবতার অঙ্কিত, তেমনই এই মূর্তির চারপাশেও দশাবতার মূর্তি রয়েছে! আলাদা করে বিষ্ণুমূর্তিটির প্রাচীনত্ব ও বিশেষত্ব নিয়েও ব্যাখ্যা দেন তিনি। তিনি দেখান, এই বিষ্ণুমূর্তিটি যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে অর্থাৎ, স্ট্যান্ডিং পসচার অফ দ্য আইডল, সেটিও খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো তদন্ত বা গবেষণা হয়নি। এখনো মূর্তিটি নির্মাণের সময়কাল নিয়ে সেভাবে পরীক্ষানীরিক্ষা হয়নি। হয়তো সবটা হলেই মূর্তিটি নিয়ে আসল তথ্য সামনে আসবে। কিন্তু ভগবানের সামনে বিশ্বাসের থেকে যে বড় বস্তু কিছুই হয়না, তা আমরা একবাক্যে স্বীকার করি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন