সমকালীন প্রতিবেদন : বেআইনিভাবে সুপারিশের মাধ্যমে চাকরি হওয়া শিক্ষকদের নামের তালিকা অবশেষে প্রকাশ করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর এসএসসির ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় ১৮৩ জনের নাম রয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা চলছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে সিবিআই প্রাথমিকভাবে ১৮৩ জন অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার প্রমাণ পায় বলে দাবি করেছে।
সিবিআই এর পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা হওয়ার পর বিচারক এই অযোগ্য এবং বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে আজ সেই ১৮৪ জনের রোল নাম্বার বিষয় ক্যাটাগরি সহ নাম প্রকাশ করেছে এসএসসি।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নবম–দশম শ্রেণীতে শিক্ষক নিয়োগের যে ফল প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, সেখানেই এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় পাশ না করা এমনকি সাদা খাতা জমা দেওয়া চাকরি প্রার্থীরা বেআইনিভাবে সুপারিশপত্র পেয়ে স্কুল শিক্ষকতার চাকরি করছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষে সচিবের দেওয়া যে তালিকা এদিন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, জীবন বিজ্ঞান, অংক এবং ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ে বেআইনিভাবে পাওয়া চাকরিরত ১৮৩ জন শিক্ষকের অ্যাপ্লিকেশন আইডি, রোল নম্বর, নাম, বিষয় এবং ক্যাটাগরি উল্লেখ করা হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এদিনের তালিকায় যে যে বিষয়ে অনৈতিকভাবে শিক্ষকতার চাকরি করছে, তার সংখ্যাগুলি হল– বাংলা বিষয়ে ২১ জন, ইংরেজিতে ৫৭ জন, ভূগোলে ৩০ জন, ইতিহাসে ১৭ জন, জীবনবিজ্ঞানে ২২ জন, অংকে ১৮ জন এবং ভৌতবিজ্ঞানে ১৮ জন। এই মোট ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এসএসসির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে প্রকাশিত নবম–দশম শ্রেণীতে সহকারি শিক্ষক পদের জন্য অনুষ্ঠিত প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের ফলাফলের নিরিখে সেতাব উদ্দিন এবং অন্যান্য, বিপক্ষে রাজ্য সরকার এবং অন্যান্যদের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের সম্মানীয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যে ১৮৩ জনকে অবৈধভাবে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছিল, তার তালিকা প্রকাশ করা হলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন