দেবাশীষ গোস্বামী : করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের কোনও নাগরিককে জোর করা হয়নি। এপর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় নিয়েছেন। আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামা দিয়ে জানানো হল যে, এ পর্যন্ত কাউকে জোর করে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি, ভারতে কোনওক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
এভারা ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা বিকলাঙ্গদের সহায়তার জন্য কাজ করে, সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা জানায় যে, বিকলাঙ্গদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার আলাদাভাবে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিকলাঙ্গদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট শুনানির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা পেশ করে তাদের বক্তব্য জানাতে বলে।
সেখানে আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় যে, কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ভারতবর্ষের কোনও নাগরিককে জোর জবরদস্তি করে দেওয়া হয়নি। যারা নিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট কোনও জায়গাতেই বাধ্যতামূলক করা হয়নি। হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানায় যে, এখনও পর্যন্ত ইউনিক ডিসেবিলিটি আই কার্ড বা ডিসেবিলিটি সার্টিফিকেটের মাধ্যমে যেসব যোগ্য বিকলাঙ্গ কো-উইনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্টার করেছিলেন, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই সংখ্যাটা ২৩৬৭৮ জন।
ভারত সরকার ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দিয়ে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে জানিয়েছে যে, তারা যেন মোবাইল ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে সমস্ত বন্ধুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এই বিষয়টিও আজকে শুনানির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে। অনেক জায়গাতেই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট প্রদর্শন খুব কড়াভাবেই মানতে জনসাধারণকে বাধ্য করা হয়েছে। আজকে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া হলফনামা থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটের প্রদর্শনের বিষয়টি পরিষ্কার হল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন