Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

গাইঘাটায় বিজেপিতে ফের ভাঙন, তৃণমূলে যোগদান একাধিক নেতৃত্বের

 ‌

Multinational-leadership-joining-the-TMC

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় ফের বিজেপিতে ভাঙন ধরল। গাইঘাটার পঞ্চায়েত সদস্য সহ যুব মোর্চার সভাপতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। আর এভাবেই গাইঘাটায় রাজনৈতিকভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে শাসকদল, এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

এদিন ফুলশরা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা অনুশ্রী দাস সাহা এবং চাঁদপাড়া বিজেপির যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সহ প্রায় ৫০০ জন কর্মী–সমর্থক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে ওই এলাকার বিজেপির পার্টি অফিসটিও হাতছাড়া হল তাদের। রবিবার বিকেলে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আলোরানী সরকার এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস। এছাড়া, এদিনের এই যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ইলা বাগচি, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দত্ত সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব। 

দলত্যাগীরা এদিন জানান, 'বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দলে কাজ করা যাচ্ছিল না। ফলে মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের শরিক হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।'‌ তবে পার্টি অফিস দখল হয়েছে, একথা মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের দাবি, এখানে যারা বিজেপিতে ছিলেন, তাঁরা সবাই এখন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ফলে পার্টি অফিস চালানোর মতো এখন কেউ নেই। অন্য দলের কার্যালয় দখলের রাজনীতি তৃণমূল করে না বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। 

এই বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, '‌সারা রাজ্যে তালিবানি শাসন চলছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে ধমকানি, চমকানি, প্রশাসন দিয়ে ভয়–ভীতি দেখিয়ে আমাদের কর্মকর্তাদের দল বদল করতে বাধ্য করছে। বাঁচার তাগিদে তাঁরা দল ছাড়ছেন। তবে তাঁরা যেখানেই থাক, মনেপ্রাণে তাঁরা বিজেপিতেই থাকবেন।' ‌গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে দলত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, '‌ওগুলি সব তৃণমূলের শেখানো কথা। একদল থেকে আরেক দলে গেলে এমন বলতে হয়।' পার্টি অফিস হাতছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা তৃণমূলের কালচার। জোর করে আমাদের পার্টি অফিস দখল করেছে। পার্টি অফিসটি আমাদের ভাড়ার ছিল।'‌ 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন