সমকালীন প্রতিবেদন : ভোরের আলো ফোটেনি পুরোপুরি, ছুটির সকালে ধীরে ধীরে জাগছিল শহর। ঠিক সেই সময়ই ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যশোর রোডের কালুপুর এলাকায় প্রাণ হারালেন বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ লাইনে কর্মরত এএসআই বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। কর্তব্যরত অবস্থায় সহকর্মীর এই আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বনগাঁ পুলিশ মহলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রামারি এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎবাবুর আদিবাড়ি গাইঘাটা থানার দোগাছিয়া গ্রামে। কর্মসূত্রে বনগাঁয় থাকতেন তিনি। রবিবার সকালে দোগাছিয়া থেকে নিজের স্কুটিতে করে বনগাঁর দিকে ফিরছিলেন। কালুপুর এলাকায় আসার পর উল্টো দিক থেকে আসা একটি ৪০৭ গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁর মোটরবাইকে। সংঘর্ষের অভিঘাতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন তিনি।
ঘটনার পর স্থানীয়রা বনগাঁ থানায় খবর দেন। বনগাঁ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন। সহকর্মীরাও যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁর অকাল প্রয়াণ। সহকর্মীদের কথায়, “বিশ্বজিৎবাবু ছিলেন অত্যন্ত কর্তব্যনিষ্ঠ, পরিশ্রমী ও শান্ত স্বভাবের অফিসার। তাঁর এই মৃত্যু আমাদের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি।”
দুর্ঘটনার পর থেকেই ঘাতক ৪০৭ গাড়ি ও তার চালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বনগাঁ পুলিশ লাইনে সহকর্মীরা গান স্যালুটের মাধ্যমে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর মরদেহকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। চোখের জলে তাঁকে বিদায় জানায় বনগাঁ পুলিশ পরিবার।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন