Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

গাইঘাটায় ভয়াবহ আগুন : দোগাছিয়ার তুলোর গোডাউনে লেলিহান শিখা

 

Fire-in-cotton-godown

সমকালীন প্রতিবেদন : শনিবার রাতে গাইঘাটা থানার দোগাছিয়া এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল একটি তুলোর গোডাউন। রাতের আকাশে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বহু দূর থেকে। স্থানীয়দের চেষ্টায় কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেলেও, সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় তিন ঘণ্টা লেগে যায়। ঘটনাস্থলে বনগাঁ দমকলের দুটি ও গোবরডাঙ্গা দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন লাগে শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ন’টা নাগাদ। গোডাউনটি স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহন চ্যাটার্জীর মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। গোডাউনের সঙ্গেই রয়েছে তাঁর বসতবাড়ি। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আগুন লাগার সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাবুর স্ত্রী। তিনি দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। তবে মুহূর্তের মধ্যে আগুন এতটাই ভয়ংকর রূপ নেয় যে, গোটা তুলোর মজুদ ও কাঠামো সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে প্রথমে বালতি ও পাইপের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বনগাঁ দমকল কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। প্রায় আধঘণ্টা পর দমকলের প্রথম ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর আগুনের প্রকোপ দেখে আরও দুটি ইঞ্জিন ডাকা হয়। রাতভর চলে আগুন নেভানোর কাজ।

এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, আগুনে সম্পূর্ণ তুলোর গোডাউনটি ধ্বংস হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

ঘটনাস্থলে গাইঘাটা থানার পুলিশও পৌঁছায় এবং আগুন নেভানোর কাজে সহযোগিতা করে। এলাকায় ব্যাপক ভিড় জমে যায়। স্থানীয় প্রশাসন গোটা পরিস্থিতি নজরে রেখেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “রাতে হঠাৎ আগুনের আলো দেখে আমরা ছুটে যাই। এত দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে যে, কিছুই বাঁচানো যায়নি। শুধু মানুষটা (মোহনবাবুর স্ত্রী) প্রাণে বেঁচে গেছেন, এটা আমাদের কাছে বড়ো স্বস্তি।”

দমকলের প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, তুলো জাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে আগুন মুহূর্তের মধ্যেই পুরো গোডাউন জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। দমকল ও পুলিশের যৌথ তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন