সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা মানেই রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। সীমান্ত পেরিয়ে সেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়। এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই ঘিরে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তা এখনও ভোলার নয়। পহেলগাঁও সন্ত্রাস-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক যেমন তলানিতে পৌঁছেছিল, তেমনই ক্রিকেট মাঠেও দেখা গিয়েছিল তার প্রতিফলন। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দনে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন সূর্যকুমার যাদবরা। এমনকী, এশিয়া কাপ জয়ের পর এসিসি চেয়ারম্যান ও পিসিবি প্রধান মহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার করে ভারতীয় দল। সেই তিক্ততার রেশ এখনও কাটেনি।
এমন প্রেক্ষাপটে ফের আসছে ভারত-পাকিস্তান মহারণ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হতে চলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যার আয়োজক দেশ ভারত। তবে এবার ভারতীয় মাটিতে নয়, নিরপেক্ষ ভেনু কলম্বোয় হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। সূত্রের খবর, পাকিস্তান দল নিজেদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কাতেই।
আইসিসির প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতিটি গ্রুপে থাকছে পাঁচটি করে দল। এরপর হবে সুপার এইট পর্ব, যেখানে দু’টি গ্রুপে চারটি করে দল লড়বে। ভারত ঘরের মাঠে সুপার এইটে জায়গা করে নেবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলে গ্রুপ পর্ব ও সুপার এইট মিলিয়ে ভারতের মোট সাতটি ম্যাচ নির্ধারিত — যার মধ্যে একটিই বাইরে, অর্থাৎ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কলম্বোয়। বাকি ছয়টি ম্যাচ কোন কোন ভেনুতে হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর উইমেন্স কমিটির বৈঠকে ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে একদফা আলোচনা হবে। এর পর নভেম্বরের শুরুতেই আইসিসির আরেকটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে থাকছে— যা গত দুই দশকের মতোই প্রত্যাশিত। ক্রিকেটবিশ্বের একাংশের মতে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচই নাকি আসল ‘ফাইনাল’। কারণ, এই ম্যাচের টিআরপি, উত্তেজনা ও আবেগ ছুঁয়ে যায় অন্য উচ্চতা।
প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সূর্যকুমার যাদবের দলই উদ্বোধনী ম্যাচে নামবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। আর সেই বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ নির্ধারিত হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। আইসিসি শীঘ্রই চূড়ান্ত সূচি ব্রডকাস্টারদের হাতে তুলে দেবে।
ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্কার হয়ে যাবে, ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচের মঞ্চে কবে, কোথায় এবং কীভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন