সমকালীন প্রতিবেদন : ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসে ধরা পড়ল জাল নোট চক্র! পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাংকের বনগাঁর মতিগঞ্জ শাখায় মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার টাকার জাল নোট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম বাপ্পা দত্ত, প্রসেনজিৎ দত্ত, অমিতাভ মিত্র, সাগর দাস এবং প্রশান্ত সরকার। বাপ্পা ও প্রসেনজিতের বাড়ি বনগাঁর শিমুলতলায়, অমিতাভের বাড়ি দত্তপাড়ায়, সাগরের বাড়ি পেট্রাপোলের ছয়ঘড়িয়ায় এবং প্রশান্তর বাড়ি পেট্রাপোল থানার হরিদাসপুরে। বুধবার সকালে ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। বনগাঁর শিমুলতলার বাসিন্দা বাপ্পা দত্ত নিজের ভাই প্রসেনজিৎ দত্তের অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে আসে বনগাঁ মতিগঞ্জের ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায়। নোটগুলি গোনার সময় ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে থাকা কর্মীর সন্দেহ হয়। পরখ করে দেখা যায়, ওই টাকার মধ্যে ২২টি ৫০০ টাকার নোট জাল।
এরপরই ক্যাশিয়ার বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজার শুভঙ্কর সরকারকে জানান। ম্যানেজার দ্রুত বনগাঁ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে বাপ্পা দত্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। প্রাথমিক জেরায় উঠে আসে, এই টাকাগুলি বাপ্পার ভাই প্রসেনজিৎ পেয়েছিল বনগাঁর দত্তপাড়ার বাসিন্দা অমিতাভ মিত্রের কাছ থেকে। সন্দেহ বাড়তেই অমিতাভকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ।
অমিতাভের জেরায় পুলিশের হাতে আসে আরও দুটি নাম। আর তারা হল– পেট্রাপোলের সাগর দাস ও প্রশান্ত সরকার। এরপর বনগাঁ ও পেট্রাপোলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতেই এই দুই অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এব্যাপারে বনগাঁর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা বলেন, “তদন্তে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এই চক্রের মূল পান্ডা অমিতাভ মিত্র। তার মাধ্যমেই জাল নোটগুলি বিভিন্ন হাতে ঘুরে ব্যাংকে পৌঁছেছিল। পুরো চক্রটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও কেউ যুক্ত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশের অনুমান, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সক্রিয় একটি জাল নোট চক্রের অংশ এই পাঁচজন। ধৃতদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এখন জাল নোটের উৎস এবং সরবরাহ পথ অনুসন্ধান করছে।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন