Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রপ্তানি নিয়ে অনিশ্চয়তা ‌: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আশঙ্কায় ভারতমুখী ইলিশ

Hilsa-export

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের বাজারে ইলিশের দাম কম থাকায় বড় ধাক্কায় পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। নদীতে পর্যাপ্ত মাছ না ওঠা, অভ্যন্তরীণ বাজারের সঙ্গে রপ্তানি মূল্যের অমিল এবং লোকসানের আশঙ্কায় বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন আড়তে ব্যবসায়ীরা ইলিশ ভারতে পাঠাতে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এর ফলে চলতি মরশুমেই ভারতমুখী ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার এবছর ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো দূরের কথা, অর্ধেক রপ্তানি সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মাত্র ৫০০ টন রপ্তানি নিয়েই দোটানায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রথম দু’দিনে ৬৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো গেলেও পরের দিকে গতি শ্লথ হয়ে যায়।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে বাংলাদেশি বাজারে ইলিশের দাম এতটাই বেশি যে নির্ধারিত রপ্তানি মূল্যে ভারতে পাঠালে বড়সড় লোকসান গুনতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের বাজারেও আগের মতো চাহিদা নেই। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে।

শুরু থেকেই সাগর ও নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ না ওঠায় খুচরো বাজারে দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০০ গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশের পাইকারি দর বাংলাদেশি টাকায় ২,০০০ টাকা, এক কেজি ওজন হলে ২,২০০–২,৫০০ টাকা। এর সঙ্গে প্যাকেজিং ও পরিবহণ খরচ মিলে কেজিপ্রতি আরও ১০০–১৩০ টাকা বাড়ে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রকের নির্ধারিত রপ্তানি মূল্য মাত্র ১২.৫ ডলার (প্রায় ১,৫২৫ টাকা)। ফলে কেজিপ্রতি ৫০০–৮০০ টাকার লোকসান গুনতে হয়।

বরিশালের মোকামে বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম মণপ্রতি ৮০ হাজার টাকা, ৫০০ গ্রাম ইলিশ ৬৪ হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯২ হাজার টাকা, আর ১,২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৯৭ হাজার টাকা। এই বাস্তবতায় ব্যবসায়ীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, রপ্তানির চেয়ে স্থানীয় বাজারেই বিক্রি বেশি লাভজনক। পরিস্থিতি এমনই যে, চলতি মরশুমে ভারতীয় বাজার ইলিশের বড় সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন