সমকালীন প্রতিবেদন : নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই গোটা দেশে শুরু হচ্ছে ‘জিএসটি সঞ্চয় উৎসব’। নতুন কর সংস্কারের ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র শিল্প— সবার জন্যই সাশ্রয় নিশ্চিত হবে বলে আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাতির উদ্দেশে ভাষণে তিনি জানালেন, উৎসবের মরশুমে কোটি কোটি পরিবার অর্থ সাশ্রয়ের সুবিধা পাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামীকাল থেকেই দেশবাসীর সঞ্চয় শুরু হবে। অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সস্তা হবে। দাঁত মাজার ব্রাশ, টুথপেস্ট, সাবান, জীবনবিমা সহ বহু পণ্যের ওপর আর কোনও কর নেই, বা সর্বাধিক ৫ শতাংশ কর দিতে হবে।” নতুন কাঠামোতে আগের চারটি স্তরের বদলে শুধু দুই স্তর— ৫ ও ১৮ শতাংশ কর রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, এতে বছরে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে দেশবাসীর।
মোদী এদিন বলেন, “২০১৭ সালে জিএসটি চালুর মাধ্যমে দেশ ‘ওয়ান নেশন ওয়ান ট্যাক্স’-এর নতুন ইতিহাস গড়েছিল। আগে শহর থেকে শহরে পণ্য পাঠাতে অসংখ্য কর, চেকপোস্ট আর ফর্ম পূরণ করতে হত। তার বোঝা শেষ পর্যন্ত গরিব মানুষের ঘাড়েই চাপত। নতুন কর ব্যবস্থায় সেই জটিলতা থেকে দেশ মুক্তি পেয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, গত ১১ বছরে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার বাইরে এসেছেন। চলতি অর্থবর্ষে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা মধ্যবিত্তদের জীবনযাত্রায় স্বস্তি এনেছে। এবার জিএসটির নতুন সংস্করণ গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত করবে।
দেশীয় শিল্প ও ‘স্বদেশি’ পণ্যের ব্যবহারের ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের প্রতিটি ঘরকে স্বদেশি করতে হবে। গর্বের সঙ্গে বলুন— আমরা স্বদেশি কিনি, স্বদেশি বিক্রি করি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে শক্তিশালী করাই বিকশিত ভারতের ভিত্তি। ভারতকে আত্মনির্ভর করার দায়িত্ব এমএসএমই-গুলোর কাঁধেই।”
প্রধানমন্ত্রী রাজ্য সরকারগুলিকেও এই সংস্কারে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সবাই এগিয়ে এলে শুধু রাজ্যের উন্নতিই নয়, দেশের সামগ্রিক বিকাশও ত্বরান্বিত হবে।” নবরাত্রি ও উৎসবের মৌসুমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদী বলেন, “এই ‘অর্থ সাশ্রয় উৎসব’ পরিবারে খুশি আনবে, মুখে হাসি ফোটাবে। দেশের অগ্রযাত্রায় এটি এক নতুন অধ্যায়।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন