সমকালীন প্রতিবেদন : ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় ৩০০ কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে দাবি করল গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এই যোগদান অনুষ্ঠান। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা এদিন বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।
শান্তনু ঠাকুর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেন, “যারা আজ বিজেপিতে এলেন, তারা বুঝেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের কোনও উন্নয়ন করেননি। মানুষের আস্থা এখন পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকছে।” তাঁর অভিযোগ, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের উন্নয়নমূলক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই অনেকেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তিকে বেছে নিচ্ছেন।
যোগদানকারীদের অধিকাংশই মতুয়া সম্প্রদায়ের বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “উন্নয়ন ও ন্যায়ের প্রত্যাশায় তাঁরা বিজেপির উপর ভরসা রেখেছেন। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার আশায় তাঁরা আজ আমাদের দলে যোগ দিলেন।” এদিন মূলত বাগদা, গাইঘাটা এবং স্বরুপনগর থেকে আসা মানুষেরা যোগদান মঞ্চে হাজির ছিলেন।
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির দাবি একেবারেই খারিজ করে দিয়েছে। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এ সব বিজেপির সাজানো নাটক। নিজেদের মানুষদেরই আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়াচ্ছে।” তাঁর দাবি, আগামী এক মাসেই বিজেপি থেকে বহু কর্মী তৃণমূলে ফিরবেন।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, গত কয়েক মাসে বনগাঁর বহু অঞ্চলেই তৃণমূলের ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে এবং বিজেপির প্রতি সমর্থন বাড়ছে। শুক্রবারের যোগদান সেই ধারাকেই আরও জোরদার করল বলে তারা মনে করছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটকে ঘিরে দুই দলের টানাপোড়েন আরও তীব্র হতে পারে। ঠাকুরনগরের এই যোগদান অনুষ্ঠান সেই রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন চাপ সৃষ্টি করল বলেই মনে করা হচ্ছে।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন