Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

শ্রম কোডের বিরুদ্ধে পথে এআইইউটিইউসি, রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন–অবরোধে উত্তাল ধর্মতলা

Against-Labor-Code

সমকালীন প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রম কোড কার্যকর করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠল ধর্মতলা। শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি–র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল, অবরোধ এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়। সংগঠনের অভিযোগ, ২১ নভেম্বর কেন্দ্র অগণতান্ত্রিক উপায়ে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী চারটি শ্রম কোড চালু করেছে, যা মালিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

এআইইউটিইউসি–র দাবি, নতুন শ্রম কোড চালুর আগে প্রচলিত আইন অনুযায়ী যে পরামর্শ–প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল, তা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও সরকার তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসেনি। এমনকি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)–র পরামর্শ অনুযায়ী শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও উপেক্ষা করেছে কেন্দ্র। অভিযোগ, বছরের পর বছর ভারতীয় শ্রম সম্মেলন আহ্বান করা হয়নি‌। সেই সম্মেলনকেও এড়িয়ে শ্রম কোড কার্যকর করেছে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি করেই এদিন বিক্ষোভ মিছিল করে এআইইউটিইউসি। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এ.এল. গুপ্তা এবং রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস। ধর্মতলার কে.সি. দাশ মোড় এলাকায় বিক্ষোভকারীরা অবরোধ গড়ে তোলেন। সেখানে প্রতীকীভাবে ‘কালা শ্রম কোড’-এ অগ্নিসংযোগ করেন সভাপতি এ.এল. গুপ্তা।

এরপর রাজ্যপালের কাছে দাবিপত্র জমা দেন সংগঠনের প্রতিনিধি দল। রাজ্য সম্পাদক অশোক দাসের নেতৃত্বে পেশ করা ওই স্মারকলিপিতে অবিলম্বে চারটি শ্রম কোড চালুর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি অবিলম্বে ভারতীয় শ্রম সম্মেলনের (আইএলসি) বৈঠক ডাকতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়।

এআইইউটিইউসি–র বক্তব্য, শ্রম কোড প্রয়োগ হলে শ্রমিকদের ন্যূনতম সুরক্ষা, কর্মক্ষেত্রে অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই গণতান্ত্রিক আলোচনাকে এড়িয়ে নেওয়ার এই নীতিকে তারা মেনে নেবে না। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, দাবি না মানলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত তারা।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন