Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিম্নচাপের জেরে পঞ্চমী থেকেই দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা

 

Heavy-rain-expected

সমকালীন প্রতিবেদন : চতুর্থীর দুপুরে রোদের খুশি ফিরলেও পুজোয় বৃষ্টির অনাসৃষ্টি অনিবার্য বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হতে চলেছে নতুন নিম্নচাপ, যার প্রভাবে আগামী কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত এবং দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ‌আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সেটি ধীরে ধীরে পশ্চিমমুখী হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ ওড়িশা–উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে ঘনীভূত অবস্থায় পৌঁছবে। সম্ভাবনা রয়েছে, ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে সেটি স্থলভাগে প্রবেশ করবে।

২৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টিপাত। ২৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৪০-৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইবে। বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় জলজটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীর দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সপ্তমীতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর অর্থাৎ অষ্টমী ও নবমীর দিন দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গায় বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গের সব জেলায় বজ্রঝড় হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বজ্রঝ‌ড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টি হতে পারে। ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রঝড়-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

২৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে, সর্বোচ্চ গতি পৌঁছতে পারে ৫৫ কিমি পর্যন্ত। সমুদ্র থাকবে উত্তাল। এই সময় পশ্চিমবঙ্গ–ওড়িশা উপকূলবর্তী সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে পঞ্চমী থেকে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। পাশাপাশি অষ্টমীর দিকে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে, যা পুজোর শেষের দিনগুলিতে আরও বৃষ্টি ডেকে আনতে পারে।

ফলে প্রশ্ন উঠছে, নবমীর রাত থেকে কি বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা? আবহাওয়াবিদদের মতে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ঘূর্ণাবর্তের গতিপথের উপর। আপাতত নিশ্চিত যে, পুজোর প্রথম থেকেই দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের আকাশে মেঘের ভাঁজ ঘন হবে এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন