Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আপনার নাম আছে কি? কিভাবে চেক করবেন?‌

 

Voter-list-for-2002

সমকালীন প্রতিবেদন : ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা শুরু নির্বাচন কমিশনের। কিভাবে চেক করবেন? ওই তালিকায় নাম থাকা কতটা জরুরি? আপনার নাম ওই তালিকায় থাকলে কি হবে? না থাকলেই বা কি হবে? বাংলার বুকে 'স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন' সমীক্ষা শুরু হওয়ার পর বিহারের মতো অবস্থা হলে? গণহারে নাম বাদ গেলে? সুপ্রিম কোর্ট দিল বড় হুঁশিয়ারি। 

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর হয়েছিল প্রায় দু’যুগ আগে। ২০০২ সালে। সেই ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করেই এবার এগোতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। যাদের নাম ওই লিস্টে থাকবে তাদেরকে কোনওরকম কোনো নথি জমা দিতে হবে না। কিন্তু ওই লিস্ট চেক করবেন কিভাবে? রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে এই তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১১টি জেলার শতাধিক বিধানসভা ক্ষেত্রের ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। 

সেই তালিকা দেখতে চাইলে আপনি বাড়িতে বসেই মোবাইল ফোনে দেখতে পারবেন। শুধু পদ্ধতিটা জানতে হবে। প্রথমে গুগলে গিয়ে সিইও ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সেখান থেকে 'ইলেক্টোরাল রোল' বা কোনো একইধরনের (সিমিলার) সেকশন দেখলে তাতে ক্লিক করুন। এবার খুব ভালো করে দেখে নিজের জেলার নাম সিলেক্ট করুন। আপনার বিধানসভা কেন্দ্র বেছে নিন। ‌ নির্বাচন করুন পোলিং স্টেশনের নাম। 

সেখান থেকে পাশে থাকা 'ফাইনাল রোল' অপশনে ক্লিক করুন। তৎক্ষণাৎ আপনার সামনে বেরিয়ে আসবে ২০০২ এর সেই ভোটার তালিকা। সেখানেই আপনার নাম আপনাকে খুঁজে নিতে হবে। যদি ওই তালিকায় আপনার নাম থাকে, তাহলে আপনাকে কোন নথিপত্র জমা দিতে হবে না। কিন্তু ওই তালিকায় আপনার নাম না থাকলে, নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া নথি আপনাকে জমা করতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। 

বাংলায় এখনো পর্যন্ত এসআইআর সমীক্ষা কবে শুরু হবে, তা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত দিনক্ষণ ঠিক হয়নি বা নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সামনে আনা হয়নি। তাই এখনই এটাও জানা যাচ্ছে না যে, বাংলার মানুষকে কোন কোন নথি দাখিল করতে হবে। বিহারে যে এগারোটা নথি নির্বাচন কমিশন ঠিক করে দিয়েছিল সেগুলোই কি বাংলার জন্যও প্রযোজ্য? নাকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটার এবং আধার কার্ডকে গ্রহণযোগ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন? সেই উত্তর এখনও পর্যন্ত অধরা। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট কিন্তু এর আগেও নির্বাচন কমিশনকে এই পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু সেটাকে প্রত্যাখ্যান করে ইসি। এবার ফের সুপ্রিম কোর্ট আধার এবং ভোটার কার্ডকে গ্রহণযোগ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করার পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশনকে। একইসঙ্গে বিহারে যেভাবে গণহারে নাম বাদ গেছে মানুষের, সেই বিষয়টাকেও ভালোভাবে নিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। সেক্ষেত্রে এসআইআর সমীক্ষায় বাংলার বুকে আগামীদিনে ঠিক কি ঘটতে চলেছে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।‌‌‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন