সমকালীন প্রতিবেদন : দেশের আর্থিক সুরক্ষা ও যুবসমাজের কর্মমূল্য বৃদ্ধি– এই দুই দিককে সামনে রেখে গ্রিনলাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্রোকিং প্রাইভেট লিমিটেড (জিআইবিএল) আয়োজন করল ‘জিআইবিএল লিডারশিপ সামিট ২০২৫’। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর মন্দারমণির সি-স্টার রিসর্টে অনুষ্ঠিত এই দুদিনের সম্মেলনে দেশের শীর্ষ বীমা সংস্থাগুলির আধিকারিক, শিল্পজগতের বিশেষজ্ঞ এবং নতুন প্রজন্মের আর্থিক পরামর্শদাতাদের মিলনমেলা তৈরি হয়।
এই সম্মেলনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল জিআইবিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও অধিকর্তা সুবীর মুখার্জির দূরদর্শী ‘Vision 2030’ ঘোষণা। তাঁর কথায়, “ভারত বীমা শিল্পের স্বর্ণযুগের দিকে এগোচ্ছে। আমরা চাই এক লক্ষ স্বনির্ভর ইন্স্যুপ্রনিয়র গড়ে তুলে দেশের আর্থিক নিরাপত্তার ভিত আরও শক্তিশালী করতে।”
এই ‘লক্ষ্য ২০৩০’ কর্মসূচি অনুযায়ী— সারা দেশের ১৯,৫২২টি পিনকোডে এক লক্ষ দক্ষ ‘ইন্স্যুপ্রনিয়র’ তৈরি করবে জিআইবিএল, যা যুবশক্তির জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণকে আরও গতিশীল করে তুলবে।
ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, আইসিআইসিআই লোম্বার্ড, জেনারেলি সেন্ট্রাল, টাটা এআইজি-র আধিকারিকরা জানান– জীবন, স্বাস্থ্য ও মোটর বীমার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। ডিজিটাল পরিষেবার সম্প্রসারণ নতুন রোজগারের ক্ষেত্র তৈরি করছে বলেও তাঁদের মত।
সম্মেলনে সেরা পারফর্মিং অ্যাডভাইজারদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। ছিল সিএসআর উদ্যোগ, বীমা সচেতনতা আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারিজাত চক্রবর্তী ছিলেন অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে।
জিআইবিএল জানিয়েছে, আগামী দিনে টিয়ার–২, টিয়ার–৩ এবং গ্রামীণ অঞ্চলে প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যাডভাইজার ইকোসিস্টেম তৈরি করা তাদের লক্ষ্য।
আইআরডিএআই অনুমোদিত দ্রুত বর্ধনশীল ফাইজিটাল বীমা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জিআইবিএল ইতিমধ্যেই আর্থিক পরিষেবার জগতে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছে। Vision 2030 বাস্তবায়িত হলে বীমা উদ্ধারাভিযানে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলেই মনে করছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন