Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বনগাঁয় গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার ঘিরে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য

 

Cow-smuggling-case

সমকালীন প্রতিবেদন : পুরনো একটি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে পরিতোষ মহালদার নামে এক ব্যক্তিকে। সোমবার রাতে বনগাঁ থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ধৃত পরিতোষ মহালদার বনগাঁ দক্ষিণের একজন বিজেপি নেতা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বনগাঁয়। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিতোষ মহালদার বনগাঁ থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, সে দীর্ঘদিন ধরেই গরু পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নথিভুক্ত ছিল। ২০১৭ সালে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় চলা পাচার চক্রের তদন্ত চলাকালীন তার নাম উঠে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বনগাঁয় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ দাবি করেছেন, “২০১৭ সালে পরিতোষ তৃণমূল করতো। তৃণমূলের পুরনো অভ্যাসই হল বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা। ওই ব্যক্তি আদৌ বিজেপি করে কি না, তা স্পষ্ট নয়।” বিরোধী শিবিরের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই পরিতোষকে টার্গেট করে এই মামলায় তাকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

অন্যদিকে, তৃণমূল পক্ষ পাল্টা আক্রমণ করেছে। এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য, “২০১৭ সালে গরু পাচার চক্রে পরিতোষ মহালদারের নাম ছিল। এখন সে বিজেপির সক্রিয় নেতা। এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার, বিজেপির সঙ্গে গরু পাচার চক্রের যোগ রয়েছে।” তাঁর কথায়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করায় সত্যিটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

পরিতোষ মহালদারের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ চরমে উঠেছে। এই ঘটনা বনগাঁর রাজনীতিতে নতুন একটি ইস্যু তৈরি করেছে। সামাজিক মাধ্যমেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকে রাজনৈতিক স্বার্থে মামলা টেনে বাড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করছেন– দোষী হলে শাস্তি হওয়া উচিত, সে যে দলেরই হোক না কেন। 

 
                                                   


‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন