সমকালীন প্রতিবেদন : জনবহুল এলাকায় মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুশান্ত দাস নামে এক যুবককে। বনগাঁ থানার অধীনে শক্তিগড় এলাকায় রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে। ধৃত যুবক সাত ভাই কালিতলা এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালবেলা বনগাঁর দুই নম্বর রেলগেট সংলগ্ন শক্তিগড় এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল এক যুবক। তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সঙ্গে সঙ্গে বনগাঁ থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে।
ধৃতের নাম সুশান্ত দাস। পুলিশ জানিয়েছে, সে দীর্ঘদিন ধরেই বনগাঁর বিভিন্ন এলাকায় হেরোইন বিক্রি করত। পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার করার সময় ধৃতের কাছ থেকে মোট ১৮৮টি হেরোইনের পুরিয়া উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি, মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি স্কুটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সুশান্ত দাসের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নজরে রাখা হচ্ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন, জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় মাদক বিক্রি হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক ঘটনা। তারা আরও সক্রিয় পুলিশি তৎপরতা ও নজরদারির দাবি জানান।
ধৃত সুশান্ত দাসকে সোমবার বারাসতের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটককৃত স্কুটিটি কোন সূত্রে এসেছে এবং তা কার নামে রেজিস্টার্ড, সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।
এব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায় জানিয়েছেন, 'বেশ কয়েকদিন ধরেই এই ছেলেটিকে আমাদের এলাকায় স্কুটি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছিল। আজ সকালেও সে আমার বাড়ির সামনে স্কুটি দাড় করিয়ে ফোনে কথা বলছিল। পরে তাকে স্থানীয়রা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় যে, সে একজন হেরোইন বিক্রেতা।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন