সমকালীন প্রতিবেদন : নাইট শিবির থেকে বেরিয়ে অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের আরও ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সে ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম হোক বা সূর্যকুমার যাদব। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে এরকম অনেক ঘটনা। তবে কেকেআর থেকে আরসিবিতে গিয়ে বাজিমাত করেছেন অনেকেই। আগে এই ঘটনা দেখা গিয়েছে ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের ক্ষেত্রে। আর এবারও দুই ক্রিকেটার নাইট শিবির থেকে আরসিবি শিবিরে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন। সেই দুজন হলেন ফিল সল্ট এবং সুয়শ শর্মা।
গতবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দাপটের প্রধান কারণ ছিলেন ওপেনার ফিল সল্ট। তাঁকেই এবারের আইপিএলের আগে ছেড়ে দিয়েছিল কলকাতা। ছেড়ে দিয়েছিল স্পিনার সুয়শ শর্মাকেও। বৃহস্পতিবার তাঁদের কাঁধে চড়েই আইপিএলের ফাইনালে উঠল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি যদি চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, বেঙ্কি মাইসোর, শাহরুখ খানেরা দেখে থাকেন, তা হলে অবশ্যই আফসোস করবেন। ভাববেন কেন সল্ট, সুয়শদের ছেড়ে আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিংদের রাখতে গেলাম। সল্টকে নিলামে কেনার উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল আরসিবি শিবিরে। অধিনায়ক রজত পতিদার ম্যাচ শেষে বলেন, 'প্রতি ম্যাচে সল্ট যেভাবে খেলেছে, যেভাবে দলের ইনিংসটা শুরু করেছে, সেটা খুবই উপভোগ্য। আমি ওর ভক্ত।'
পতিদার প্রশংসা করেন সুয়শেরও। আরসিবি অধিনায়ক বলেন, 'সুয়শ দারুণভাবে দলে জায়গা করে নিয়েছে। ওর লাইন এবং লেংথ দুর্দান্ত। অধিনায়ক হিসাবে আমি খুব স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করতে হবে। ও সেটাই খুব ভাল ভাবে করেছে।'
গত বার কেকেআরের হয়ে সল্ট ১২ ম্যাচে ৪৩৫ রান করেছিলেন। চারটি অর্ধশতরানও করেছিলেন তিনি। এবারের আইপিএলেও ছন্দে রয়েছেন ইংরেজ ওপেনার। বেঙ্গালুরুর হয়ে ১২ ম্যাচে ৩৮৭ রান করেছেন। এবারেও চারটি অর্ধশতরান করেছেন তিনি।
আইপিএল ফাইনালে বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝড় তুললে অবাক হওয়ার থাকবে না। অন্যদিকে, সুয়শ ২০২৩ সালের আইপিএলে ১১ ম্যাচে কেকেআরের হয়ে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। পরের আইপিএলে তাঁকে মাত্র দু’টি ম্যাচে খেলিয়েছিল কলকাতা। এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন।
গোটা আইপিএলে তেমন নজর কাড়তে না পারলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিন উইকেট তুলে লণ্ডভণ্ড করে দেন শ্রেয়স আয়ারদের মিডল অর্ডার। ম্যাচের সেরাও হন সুযশ। তিনি বলেন, 'কোচ আমাকে একটাই কাজ দিয়েছিল। বলেছিল, লেগব্রেক, গুগলি, ফ্লিপার যা-ই করি বল স্টাম্পে রাখতে হবে। উইকেট থেকে কিছুটা সাহায্য পেয়েছি।' আপাতত এই দুজনকে দলে নিয়ে প্রথম ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখছে আরসিবি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন