Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

‌৫ টা খাবারেই হবে ভালো ঘুম

Good-sleep

সমকালীন প্রতিবেদন : শুয়ে পড়লেই চোখ জুড়িয়ে আসবে ঘুমে। জাস্ট ৫ টা খাবারেই হবে কামাল। পর্যাপ্ত ঘুম হবে প্রতিদিন। হাতে ঘুমোনোর সময় কম? বড় ক্ষতি করছেন না তো নিজের? শুধু একটা হরমোনকে অ্যাকটিভ করতে হবে। জীবনে ঘুমের ঘাটতি হবে না। কিন্তু কিভাবে করবেন? কি খাবেন? আপনার জন্য এক্স্যাক্টলি কি কি প্রয়োজন? বিস্তারিত থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে। 

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একাংশ দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যস্ত জীবন, ফলে ঘুমের জন্য বরাদ্দ সময়ের পরিমাণটা অনেক মানুষেরই আজকাল কম থাকে। তাই অল্প সময়ের জন্য শুলেও যাতে ঘুম ঠিকঠাক হয় তার উপায় আপনাদের জেনে রাখা দরকার। 

এটা কি জানেন, ভাল ঘুমের নেপথ্যে রয়েছে মেলোটোনিন নামের একটা হরমোন? হ্যাঁ, এবার প্রশ্ন হল কিভাবে মেলাটোনিন হরমোন আমাদেরকে ঘুমের দেশে নিয়ে যায়? আর এমন ৫টা পরিপূর্ণ কি খাবার আছে, যা দৈনিক ডায়েটে রাখলে উপকার পাওয়া যাবে?

প্রথমেই বলব দুধের কথা। দুধে‌র মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই অনেক সময়েই ঘুমের আগে চিকিৎসকেরা গরম দুধ সেবনের পরামর্শ দেন। পরে আপনিও এটা ট্রাই করতে পারেন যদি সহজেই আপনার ঘুম না আসতে চায়।

দ্বিতীয়ত, মাছ। তেলযুক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬। জেনে রাখা দরকার, এই ভিটামিন মানবদেহে মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলত প্রতিদিনের ডায়েটে মাছ খেতে পারলে, ঘুম ভাল হয়। মাছের পাশাপাশি আর একটা জিনিস দারুন উপকারী ঘুমের ক্ষেত্রে। ডিম। ট্রিপ্টোফ্যানের উৎস ডিম। তাই খাবারে ডিম রাখলে, ঘুমের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ডিনারে। 

এবার বলব একটা ফলের নাম। কলা। কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা পরোক্ষে দেহে মেলাটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে কলা থাকলেও ঘুম ভাল হবে। লাস্ট পয়েন্টে বাদাম। কাঠবাদাম, আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা ভাল ঘুমের জন্য উপকারী। ঘুমের আগে অল্প পরিমাণে বাদাম খেলে, তা ক্লান্তি দূর করে ঘুমোতে সাহায্য করে।

তবে এই যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পাঁচটা জিনিস রাতের দিকে খেতে বলা হচ্ছে, সেটারও কিন্তু নির্দিষ্ট কারণ আছে। বুঝতে হবে, মস্তিষ্কের পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক এই হরমোনটি তৈরি করে। মানুষের ঘুম-জাগরণ চক্রের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই হরমোনের গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত সূযাস্তের পর দেহে মেলাটোনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার ফলে শরীর ঘুমের সময় বুঝতে পারে। 

অন্যদিকে, ভোর নাগাদ দেহে এই হরমোনের মাত্রা পুনরায় কমতে শুরু করে। যার ফলে আমাদের ঘুম ভাঙে। তাই যে ৫টা জিনিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বিকেলের পর খেলে আপনার ঘুমের জন্য উপযোগী হবে।‌ অতএব, ঘুমের জন্য এই খাবারগুলি একবার ট্রাই করে দেখা যেতেই পারে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন