সমকালীন প্রতিবেদন : শরীরচর্চা বা ডায়েট কোনটাই লাগবে না! জাস্ট পাঁচটা উপায় বলবো। হুড়মুড়িয়ে কমবে ওজন। পাঁচটার মধ্যে যে কোনো একটা উপায় করলেই হবে কামাল। কি করবেন? পাঁচটা বিকল্প পথ আসলে কি? ওয়ার্ক আউটের মতো সময়ও লাগবে না। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আলোচনা করব খুব কম সময়ে কিভাবে ওয়েট কন্ট্রোল করা যায়।
প্রথমেই বলবো মুশকিল আসানের পথ। প্রথাগত শরীর চর্চা বা জিমে না গিয়েও বাড়িতে অথবা বাইরে যেকোনো জায়গাতেই এগুলো আপনি করতে পারেন। উপকার পাবেন দুর্দান্ত।
১) স্কিপিং : জিমে না গেলেও বাড়িতে একটা স্কিপিং থাকলেই হবে কেল্লাফতে। জাস্ট ৫ থেকে ১০ মিনিট। এতে কিন্তু সারা দেহের ব্যয়াম হয়। আর স্কিপিংয়ে হৃৎস্পন্দন বাড়ে। না এটা খারাপ নয়। বরং ভালো। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে। কার্ডিয়ো ভাস্কুলার সিস্টেম ভালো থাকে। একইসঙ্গে শরীর থেকে ঘাম ঝরাতেও স্কিপিং দারুন সাহায্য করে। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, স্কিপিংয়ের সাহায্যে একবারে ৬০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরানো সম্ভব।
২) দৌড়নো : ফিটনেস কোচদের একাংশ কি বলে জানেন? প্রতি দিন ৬০০ থেকে ১০০০ ক্যালোরি কমাতে হলে দৌড়ন, তাতে উপকার পাওয়ার হিউজ চান্স আছে। প্রতি দিন আধ ঘণ্টা মতো দৌড়লে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে অভ্যাস না থাকলে শুরুতে জগিং করা যেতে পারে। না হয় পরে সময়ের সঙ্গে দৌড়ের গতি বাড়ানো যাবে।
৩) সিঁড়ি ভাঙা : এটাও দুর্দান্ত ওজোন কন্ট্রোলের উপায়। বাড়ি বা অফিস, যেখানে ইচ্ছে করতে পারেন। দেখবেন এখন সকলেই লিফ্ট ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ। কিন্তু লিফ্টের পরিবর্তে যদি সিঁড়ি ব্যবহার করা যায়, তা হলে সেটা ব্যয়ামের সমান। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে পায়ের পেশি শক্ত হয়। এতে কিন্তু ৪০০ থেকে ৮০০ ক্যালোরি কমানো যেতে পারে। তাহলে? মন্দ কি?
৪) সাঁতার : ওয়েট লস এর একটা দুর্দান্ত উপায় হলো সাঁতার কাটা। যাঁরা সাঁতার কাটতে পারেন, ওজন ঝরাতে তাঁদের জন্য তো এর কোনও বিকল্প নেই। এক ঘণ্টা সাঁতার কাটতে পারলেই ৫০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমানো সম্ভব। সারা দেহের ব্যয়ামের জন্য সাঁতারের কোনও বিকল্পও নেই। তবে যাঁরা সাঁতার কাটতে পারেন না, তাঁরাও শেখার চেষ্টা করতে পারেন। নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারলে আর্থ্রাইটিস সহ বিভিন্ন শারীরিক ব্যথার উপশম হয়। সাঁতার কাটতে দেহের পেশিও শক্ত হয়। কি, ভালো থাকার জন্য এটাও ট্রাই করে দেখবেন নাকি?
৫) সাইক্লিং : ওজন কমানোর জন্য আপনি কিন্তু নিয়মিত সাইকেলও চালাতে পারেন। বাড়ির বাইরে বা বাড়িতে সাইকেল মেশিনে সময় কাটাতে পারেন। সাইকেল চালালে সারা শরীরের ব্যয়াম হয়। সাইকেল ঠিকমতো চালাতে পারলে ৪০০ থেকে ৮০০ ক্যালোরি কমানো সম্ভব।
একটা জিনিস ভুলে গেলে চলবে না, আজকাল ব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় বার করতে পারেন না। কিন্তু ফিটনেসের খেয়াল না রাখলে, বড় বিপদ হতে পারে। বিশেষ করে একটা বয়সের পর। ব্যথা বেদনা বাড়তে পারে শরীরে। হতে পারে হৃদরোগ। কিংবা আরও জটিল কোনো অসুখ। তাছাড়া বাড়তে পারে মেদও। সেক্ষেত্রে এটা মাথায় রাখবেন, দৈনিক শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরির থেকে বেশি ক্যালোরি পরিশ্রমের মাধ্যমে ঝরাতে পারলে ওজন বৃদ্ধি হয় না। আর তার জন্য যে পাঁচটা উপায় বললাম, তার মধ্যে যে কোনো একটা বা দুটো আপনি বেছে নিতেই পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন