Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

‌ভারত–পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি‌তে গ্যাস, এটিএম, বন্দর নিয়ে সরকারি নোটিশ

India-Pakistan-war-situation

সমকালীন প্রতিবেদন : যুদ্ধ পরিস্থিতি‌তে বন্ধ একের পর এক এয়ারপোর্ট? লিস্টে কাদের নাম? বন্ধ এটিএম কাউন্টারও? রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারটাও কি আপনাকে আগেভাগে কিনে রাখতে হবে? জরুরী পরিস্থিতি আসন্ন! মন দিয়ে পড়ুন। আসলে কি ঘটছে জানুন আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে।

যুদ্ধ আবহ। ভারত পাক সমঝোতায় এলেও সেটা টিকেছিল মাত্র দেড় ঘণ্টার জন্য। কারণ, পাকিস্তান শুধরোনোর নয়। ফলে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ফের ভারতের একাধিক জায়গায় অ্যাটাক করেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ব্ল্যাকআউটও করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই টেনশন বাড়াচ্ছে যে বিষয়গুলো, তার‌ মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য এটিএম বন্ধের খবর। শোনা যাচ্ছে, আগামী দুই-তিনদিন এটিএম বন্ধ থাকবে। সত্যিই কি তাই?

ইতিমধ্যেই একাধিক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তান ভারতে সাইবার হামলা করতে পারে, তাই অনলাইন লেনদেন এখন বন্ধ রাখাই ভাল। পাশাপাশি, এটিএমগুলোও আগামী ২-৩দিন বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হল সত্যিই কি তাই? খবরটা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেছে। তাই প্যানিক করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অনেকেই টাকা তুলে রাখতে এটিএমে লাইন দিয়েছেন। যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। এটিএম বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক পরিষেবাই চালু থাকবে।

গ্যাস সিলিন্ডার। ইন্ডিয়ান অয়েলের তরফে দেশবাসীকে অহেতুক উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আতঙ্কে পড়ে জ্বালানি তেল বা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার কেনার কোনও দরকার নেই। কারণ, দেশে যথেষ্ট জ্বালানি তেল, রান্নার গ্যাস রয়েছে। হুড়োহুড়ি করার কোনও দরকার নেই বলে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের তরফে জানানো হয়েছে। 

আসলে, সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েকটা ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (ই সমকালীন ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। যে ভিডিয়োগুলোতে দেখা গিয়েছে, পেট্রল পাম্পে লম্বা লাইন। তাছাড়া সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীর, পঞ্জাব, রাজস্থানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে জ্বালানি কেনার হিড়িক লক্ষ করা গিয়েছে। ঠিক এরপরেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে আইওসি লিখেছে, ‘সারা দেশ জুড়ে যথেষ্ট জ্বালানি মজুত রয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের। জোগানও সরবরাহ রয়েছে ঠিকঠাক।’ অতএব বোঝাই যাচ্ছে ছড়িয়ে পড়া খবর বা ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে আতঙ্কিত না হয়ে ক্রসচেক করা দরকার। নাহলে এই যুদ্ধ আবহে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

বাকি থাকলো, বন্দর। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাত্রী নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যেই বড় পদক্ষেপ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত দেশের ৩২টি বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ। পাক সীমান্তবর্তী উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে অসামরিক বিমান পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত। ১৫ মে ভোর ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত এই পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

দেশের যে ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল– অধমপুর, অম্বালা, অমৃতসর, অবন্তিপুর, বাতিন্ডা, ভূজ, বিকানের, চণ্ডীগড়, হালওয়ার, দিন্ডন, জয়সলমেঢ়, জম্মু, জামনগর, যোধপুর, খান্ডলা, কাংরা, কেশুধ, কিষাণগড়, কুল্লু মানালি, লেহ, লুধিয়ানা, মুন্দ্রা, নালিয়া, পাঠানকোট, পাটিয়ালা, পোরবন্দর, রাজকোট, সারসওয়া, শিমলা, শ্রীনগর, থোয়াইস ও উত্তরলাই। 

উল্লেখ্য, ভারত-পাক সীমান্তে লাগাতার উত্তেজনা। তাই কোনওভাবেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নজরদারি চলছেই। এমনকি নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরকেও। বাইরে ও ভিতরে জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টাই স্নিফার ডগ নিয়ে চলছে তল্লাশি।‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন