Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

গরমে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখবে এই ৬টি খাবার

 ‌

Electrolyte-balance

সমকালীন প্রতিবেদন : গ্রীষ্মকালে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি কমাবে পাউডার নয়, বিশেষ ছটি খাবার। ভাবছেন জল খেলেই সব সমস্যার সমাধান? ভুল। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। নাহলে, ডিহাইড্রেশন, শারীরিক ক্লান্তি, পেশিতে ক্র্যাম্প এগুলো হতে পারে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি থেকে। ঘাটতি পূরণ করতে কোন ছটি খাবার খাবেন? সেগুলোর নাম বলবো। আর তার সাথে বলবো জলের সঙ্গে রান্না ঘরের এই জিনিসটা এক চিমটি মিশিয়ে খাওয়ার একটা দুর্দান্ত টিপস্। দেখবেন এক ড্রিঙ্কেই জব্দ হবে গরম। 

জেনে রাখা দরকার, দেহে তরলের ব্যালেন্স বজায় রাখা থেকে শুরু করে স্নায়ুর কার্যকারিতা ও পেশির সংকোচন বজায় রাখতে ইলেক্ট্রোলাইট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই গরমেই দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে, যেসব খাবার দিয়ে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করা যায়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ডাবের জল, টক দই, কলা, মিষ্টি আলু, কমলালেবু এবং পালং শাক। 

১) ডাবের জল : গ্রীষ্মকালে ডাবের জল দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। ডাবের জলে থাকা পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম শরীরে এনার্জি জোগায় এবং বডিকে হাইড্রেটেড রাখে।

২) টক দই : টক দইও এক্ষেত্রে দারুন কার্যকরী। ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়ামে ভরপুর। এটা পেশির কার্যকারিতা ও হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতেও সাহায্য করে। তবে টক দই খাওয়ার সময় চিনি বা মধু মেশাবেন না। 

৩) কলা : ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে কলাও দারুন উপযোগী। কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। এই ইলেক্ট্রোলাইট দেহে তরলের ভারসাম্য ও পেশির কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। ফলে, গরমে কলা খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় কলা, টক দই এসব রাখতে একদম ভুলবেন না।

৪) মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুও দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম এই দুই ইলেক্ট্রোলাইট স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।

৫) কমলালেবু : গ্রীষ্মকালে কিন্তু কমলালেবু খাওয়াটা খুব দরকার। কমলালেবুর রসে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়াও পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম রয়েছে। এই দুই ইলেক্ট্রোলাইট স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতাকে উন্নত করে। 

৬) পালং শাক : পালং শাকও কিছু কম যায় না গুণে। পালং শাক হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস। এই শাকের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম রয়েছে। এই শাক খেলে দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি মিটবে। তাই লাঞ্চে এই গ্রীষ্মকালে পালং শাক রাখতে ভুলবেন না। 

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, অনেকেই মনে করেন প্যাকেটজাত এনার্জি ড্রিংক্স খেলে ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব পূরণ করা যায়। কিন্তু সেই ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। তাই স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার শুধু নয়, পাশাপাশি এই ছটি খাবার আপনার ডায়েটে অ্যাড করতেই হবে। 

তবে জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা মেটানোর জন্য আজ এই প্রতিবেদনে থাকছে আরও একটা স্পেশাল টিপস্। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই গরমে শুধু জল পান করলে কোনও লাভ হবে না। সম্ভব হলে জলে এক চিমটি লবণ যোগ করতে পারেন নির্দিষ্ট নিয়মে। এতে আপনার শরীর কিছুটা উপকার পেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এক চিমটি লবণ আসলে হাইড্রেশনের জন্য কার্যকরী হয় কীভাবে?

গরমে ঘামের কারণে আমাদের শরীর থেকে জল আর নুন দুটোই বেরিয়ে যায়। তাই লবণ মিশ্রিত জল পান করা গরমে দুর্দান্ত উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। তবে এর পরিমাণ কম হওয়া উচিত এবং সারাদিন শুধু লবণের জলই পান করা কখনই উচিত নয়। এর উপকারিতা রয়েছে ঠিকই, তবে হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী এবং কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের এর থেকে দূরে থাকা উচিত। বরং কাদের লবণ–জল পান করা উচিত? বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে বা যাদের প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়, তাদের জন্য লবণ–জল অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এতে খিঁচুনি ও পেশিতে ক্র্যাম্প কমে, শক্তির স্তর বজায় থাকে, সোডিয়ামের ঘাটতি মেটে। তাই, এমন বড় কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা না থাকলে গ্রীষ্মকালে আপনিও বুঝেশুনে খেতে পারেন এক চিমটি নুন মিশিয়ে লবণ–জল।

(উপরিউক্ত পরামর্শগুলো এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞের মতামত হিসেবে নেওয়া। ই–সমকালীন এর দায় নেয় না। আপনার খাদ্যতালিকায় কোনও বড় পরিবর্তন করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি)‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন