সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত–পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পর শনিবার থেকে আবারও শুরু হতে চলেছে আইপিএল। শনিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়েছে কলকাতা–বেঙ্গালুরু ম্যাচ। টিমটিমে হলেও এখনও বেঁচে আছে কেকেআরের প্লেঅফে যাওয়ার আশা। কিন্তু আইপিএল ফের শুরু হওয়ার আগেই ধাক্কা খেতে পারে নাইট শিবির।
আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে কেকেআরে ফিরছেন না দুই বিদেশি তারকা। ফলে খানিকটা দুর্বল দল নিয়েই কেকেআরকে নামতে হতে পারে প্লেঅফের লক্ষ্যে। সূত্রের খবর, এই আবহে অনেক বিদেশী ক্রিকেটারই ভারতে আসতে চাইছেন না। জানা গিয়েছে, ইংরেজ স্পিনার মইন আলি আর খেলতে চাননা আইপিএলে। কেকেআরের হয়ে আর ভারতে খেলতে আসতে চান না এই ইংরেজ স্পিনার।
বৃহস্পতিবার ইসিপিএন ক্রিক ইনফো এর ওয়েবসাইটে এই কথা প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে তিনি আর ভারতে খেলতে আসতে পারবেন না। তাঁর বাবার দাবি, আইপিএল খেলতে মইন এবছর আর ভারতে আসবেন না। তবে কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটিশ স্পিনার, সেই নিয়ে কিছু জানা যায়নি।
তবে নাইট ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, সপরিবারে ভাইরাল ফিভারে ভুগছেন মইন। তাই তিনি আইপিএল খেলবেন না। কেকেআর শিবিরে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে আর এক ক্রিকেটারকে নিয়েও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার রভম্যান পাওয়েলের নাইট ব্রিগেডে যোগ দেওয়া নিয়েও তৈরী হয়েছে ধোঁয়াশা। চোটের কারণে তিনি নাও খেলতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
১৭ মে-র এই ম্যাচ কেকেআরের জন্য রীতিমতো মরণ বাঁচন লড়াই। তাই সরাসরি বেঙ্গালুরুতেই দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়েছে ক্রিকেটারদের। ইতিমধ্যেই অধিকাংশ ক্রিকেটার বেঙ্গালুরুতে চলে এসেছেন বলেই নাইট শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিন্তু অধিকাংশ ক্রিকেটার চলে এলেও দু’জন বিদেশির নাইট শিবিরে ফেরা হয়নি। প্রথমজন মইন আলি। তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়েছেন। আর দ্বিতীয়জন রভম্যান পাওয়েল। দলের ক্যারিবিয়ান ব্রিগেড, অর্থাৎ সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল এবং মেন্টর ডোয়েন ব্র্যাভো যেমন দেশে ফেরেননি। তাঁরা গিয়েছিলেন দুবাইয়ে।
আবার রহমানুল্লাহ গুরবাজ কাবুলে গিয়েছিলেন। তিনি সেখান থেকে দুবাই এসে নারিন-রাসেলদের সঙ্গে যোগ দেন। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, কুইন্টন ডি’কক, অনরিখ নরকিয়া, স্পেনসার জনসনের মতো তারকারাও বৃহস্পতিবারের মধ্যে চলে এসেছেন। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছেন তারা। এই দুই বিদেশী ক্রিকেটারকে ছাড়া কেকেআর এর পারফরম্যান্স কেমন থাকে, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন