সমকালীন প্রতিবেদন : ফের তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হলেন বিশ্বজিৎ দাস। চেয়ারপার্স করা হয়েছে দলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরকে। শুক্রবারই দলের পক্ষ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে রাজ্যে একাধিক জেলায় পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। আর সেক্ষেত্রে অনেক জেলাতেই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী ছিল। তবে বনগাঁর ক্ষেত্রে সভাপতির পদ অপরিবর্তিত রইল। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির পদে পরিবর্তন ঘটানো হয় কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরে আগ্রহ ছিল চরম।
শাসকদলে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। শুক্রবার তাতে সিলমোহর পড়ল। একাধিক জেলা সংগঠনে রদবদল করল তৃণমূল। বীরভূম এবং কলকাতা উত্তরে জেলা সভাপতির পদ বাদ দিয়ে কোর কমিটিতে আস্থা রাখা হল। দুই জেলারই বিধায়কদের নিয়ে তৈরি হল কোর কমিটি।
বীরভূমের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অনুব্রত মন্ডলকে। তার বদলে ৭ সদস্যের কোর কমিটিতে রাখা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর আর আলাদা করে কোনও পদ রইল না। এখন থেকে শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য তিনি। উত্তর কলকাতাতেও ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে তৈরি হল কোর কমিটি। এছাড়া বেশ কয়েকটি জেলায় চেয়ারপার্সন, সভাপতি বদল হয়েছে।
নতুন তালিকায় নজরে পড়ার মতোই কিছু ঘটনার মধ্যে যেমন রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর জেলা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলায় পীযূষ পণ্ডা ছিলেন জেলা সভাপতি। তা অপরিবর্তিত রাখা হল। কিন্তু তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করে দেওয়া হল। অসিত চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে সেখানে জেলা সভাপতি করা হয়েছে সুজিত কুমার রায়কে।
দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নতুন তালিকায় রাজ্যের একাধিক জেলার জন্য ঘোষণা করা হয়েছে নতুন জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারপার্সনদের নাম। পাশাপাশি, বেশ কিছু জেলায় পুরনো নেতৃত্বের উপরেই আস্থা রেখেছে দল। তবে কিছু জেলার ক্ষেত্রে এখনও চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করা হয়নি। ২০২৬-র বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যেই দলে ব্যাপক রদবদল এনেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন