সমকালীন প্রতিবেদন : আচমকাই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান উমা ঘোষ। মঙ্গলবার তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন বনগাঁর বিডিও। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পদত্যাগী পঞ্চায়েত প্রধান উমা ঘোষ।
বেশ কয়েকমাস ধরেই ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা ঘোষ পদত্যাগ করবেন বলে কানাঘুষো চলছিল। আর এই পদত্যাগের নেপথ্য কারণ নিয়েও একপক্ষ সরব ছিল। আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছিল। দলের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল।
অবশেষে ২০ মে, মঙ্গলবার সরকারিভাবে প্রধান উমা ঘোষের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। এই প্রসঙ্গে উমা ঘোষ জানান, 'আমি অনেকদিন ধরেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। মাস তিনেক আগেই বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাই। কিন্তু দল আমার পদত্যাগের বিষয়ে রাজি হচ্ছিল না।'
তিনি আরও জানান, 'পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্যদের সঙ্গেও আমি আলোচনা করেছি। অবশেষে দলীয় নেতৃত্ব আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে অনুমতি দেয়। সেই অনুযায়ী আমি ৫ মে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিই। ২০ মে তা সরকারিভাবে গ্রহণ করেন বিডিও। আমি ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।'
এব্যাপারে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানান, 'ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তিনি পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে দলের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। অবশেষে দলের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দলের রাজ্য নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবে, তেমনভাবে পদক্ষেপ করা হবে।'
এই প্রসঙ্গে সারা ভারত মতুয়া মহা সংঘের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'অসৎ উপায় অবলম্বন করে জাল এসসি সার্টিফিকেট বের করে বনগাঁর বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করছে। এব্যাপারে হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। উমা ঘোষের সার্টিফিকেট নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি কেন পদত্যাগ করেছেন, তা বলতে পারবো না। জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি বিচারাধীন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন