সমকালীন প্রতিবেদন : লিগ পর্বের একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নেরা। প্রথম পাঁচ দলের মধ্যে থাকার সম্ভাবনাও নেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এই ব্যর্থতা কিন্তু কেকেআরকে ট্রফি দেওয়া দলের নয়। গত বছর সাফল্য পাওয়া দলকে ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিলেন কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
এবারের হতাশাজনক ফল অনেকাংশে সেই পদক্ষেপের জন্যই। গত বছরের দলের থেকে এবারে দুজনের অভাব অত্যন্ত পরিষ্কার। একজন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। অন্যজন গৌতম গম্ভীর। তবে রয়েছেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। নাইটদের গতবারের সাফল্যে কার কৃতিত্ব বেশি? সুনীল গাভাসকরের মন্তব্য, যোগ্য সম্মান পাননি শ্রেয়স আইয়ার।
তাহলে কি নাম না করে গম্ভীরকেই খোঁচা দিলেন গাভাসকর? তিনি বলছেন, "গতবার কেকেআরের আইপিএলের জয়ের প্রাপ্য কৃতিত্ব শ্রেয়স পাননি। সব হাততালি অন্য একজন নিয়ে গিয়েছেন। অথচ আসল কৃতিত্ব অধিনায়কের। মাঝের সারির ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব সামলেছে। ডাগআউটে বসে থাকা কারও সাফল্য নয় সেটা। এবার দেখুন, ও কিন্তু যথার্থ কৃতিত্ব পাচ্ছে। কেউ রিকি পন্টিংকে সব কৃতিত্ব দিচ্ছে না।"
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করার পরও নাইটরা শ্রেয়সকে রিটেইন করেনি। তাঁকে তুলে নেয় পঞ্জাব কিংস। যে দল গত দশ বছরে প্লে অফে উঠতে পারেনি, এবার তারা তৃতীয় স্থানে, প্লে অফ প্রায় নিশ্চিত। অন্যদিকে, কেকেআর ছিটকে গিয়েছে প্লে অফের দৌড় থেকে। আবার গৌতম গম্ভীর এখন জাতীয় দলের কোচ।
সদ্য ইংল্যান্ড সফরে যে ভারত 'এ' দল ঘোষিত হয়েছে, সেখানে শ্রেয়স ডাক পাননি। অনেকে মনে করছেন, 'যতদিন গম্ভীর কোচ থাকবেন, ততদিন শ্রেয়স টেস্টে সুযোগ পাবেন না।' তবে সফল বা সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের ধরে রাখার ক্ষেত্রে কেকেআরের দুর্বলতা নতুন নয়। বলা যায় শুরু থেকেই।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো অধিনায়কের উপর আস্থা রাখতে পারেননি তাঁরা। সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিলদের দলে নিয়েও ছেড়ে দিয়েছে কেকেআর। রিকি পন্টিং, ক্রিস গেল, অজন্তা মেন্ডিস, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, দীনেশ কার্তিক, শেন বন্ড, সঞ্জু স্যামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, মর্নি মর্কেলের মতো ক্রিকেটারদেরও অতীতে ধরে রাখার আগ্রহ দেখায়নি কেকেআর।
তালিকা দীর্ঘ। বছরের পর বছর একই রোগে আক্রান্ত কেকেআর কর্তৃপক্ষ। এই ব্যর্থতার দায় তাঁদের দুর্বল এবং অদূরদর্শী পরিকল্পনাও। বলা যায়, দল তৈরির সময়ই খেতাব ধরে রাখতে পারেনি কেকেআর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন