সমকালীন প্রতিবেদন : চলছে লোকসভা নির্বাচন পর্ব। এখন অপেক্ষা ফলাফল প্রকাশের। আর তার আগেই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মিষ্টি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন অশোকনগরের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ি কমল সাহা।
ভোটের ফল প্রকাশের আগেই তাঁর দোকানে রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্নের মিষ্টি কিনতে লাইন দিচ্ছেন মিষ্টিভক্তরা। দিল্লীর মসনদে কে বসবে, তা সময়ই বলবে। ৪ ঠা জুনের ফলাফলের উপরেই নির্ভর করবে এবার দিল্লির সিংহাসনে পদ্মফুলই থাকবে, নাকি সেই আসন ছিনিয়ে নেবে অন্য কেউ।
টানটান উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষা করছেন দেশবাসী। আর সেইসঙ্গে চলছে উৎসবের প্রস্তুতি। যে দল জিতবে, তাঁরা জয়ের পর কিভাবে সেটাকে পালন করবে, তাঁর তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
তাই এবার এই ভোট উৎসবের জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিলেন এক মিষ্টি বিক্রেতা। ভোট উৎসবের কথা মাথায় রেখে তৈরি করলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক দেওয়া মিষ্টি। আর সেই মিষ্টি দেখতে একদিকে যেমন ভিড় উপচে পড়ছে তাঁর দোকানে, তেমনই মিষ্টি কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
ঘাসফুল থেকে শুরু করে পদ্মফুল, কাস্তে হাতুড়ি তারা, হাত… অর্থাৎ তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এমনকি কংগ্রেস… সকল রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্নের মিষ্টিই রয়েছে অশোকনগর স্টেশন রোডের বিল্ডিং মোড়ের কমল সাহার এই দোকানে। বাংলার চার রাজনৈতিক দলের প্রতীক চিহ্নের মিষ্টি তৈরি করে চমকে দিলেন তিনি।
এমন অভিনব উদ্যোগের বিষয়ে দোকানের মালিক কমল সাহা জানান, ‘নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই নতুন ধরনের মিষ্টি বানিয়েছি। আর এই মিষ্টির মাধ্যমেই আমি শান্তির বার্তা দিতে চেয়েছি। মিষ্টি যেমন আমাদের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই প্রয়োজন হয়, তেমনি ভোটের এই উৎসবের জন্যও আমি মিষ্টি বানিয়েছি।'
৫০ গ্রাম ওজনের ক্ষীর দিয়ে তৈরি হয়েছে ছোট মিষ্টিগুলি। আর ৮০০ গ্রাম ক্ষীর দিয়ে হয়েছে বড় মিষ্টি। এখানে রং, ক্ষীর, ছানা, চিনি ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে একেবারে খাওয়ার উপযোগী করেই বানানো হয়েছে এই মিষ্টি।
ইতিমধ্যেই অনেক রাজনৈতিক দলের সদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কিনে নিয়ে গিয়েছেন এই মিষ্টি। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কোন প্রতীকের মিষ্টি বেশি বিক্রি হয়, এখন সেটাই দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন