সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের আর পাঁচটি চাকরির পরীক্ষাগুলির মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হলো ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এই পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করা একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু জেদ, পরিশ্রম এবং একাগ্রতা যে সাফল্য এনে দিতে পারে, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন মৃন্ময়ী চট্টোপাধ্যায়।
নার্স হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করলেও মৃন্ময়ীর ইচ্ছা ছিল বিডিও হওয়ার। সেই মতোই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নার্সিং পাস করার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
স্টাফ নার্স হিসাবে সিউড়ি ও আসানসোল জেলা হাসপাতালে কাজও করেন মৃন্ময়ী। তবে তাঁর জীবনের লক্ষ ছিল ডব্লিউবিসিএস পাশ করা। সেই মতোই কাজের পর পড়াশোনার জন্য সময় বের করেছিলেন তিনি। কাজের চাপের মধ্যেও এমন কঠিন পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন তিনি?
এই প্রসঙ্গে মৃন্ময়ী জানান, চাকরির সময় তাঁর শিফটিং ডিউটি থাকায় তিনি সময় ভাগ করে নিতেন। মর্নিং শিফট থাকলে রাতে পড়তেন এবং নাইট শিফট থাকলে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়াশোনার জন্য সময় বার করতেন তিনি। মৃন্ময়ী জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে সবসময় আপডেট রাখতেন।
শুধু তাই নয়, মক টেস্ট দেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিজেকে গড়েছেন তিনি। চাকরি করতে করতে কীভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে? এই বিষয়ে তিনি জানান, প্রথমেই প্রতিদিনের পড়ার বিষয় ঠিক করে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী সারাদিনে সময় বের করে পড়া শেষ করতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ও মেন পেপারের প্রস্তুতি ঠিক কীভাবে নেওয়া উচিত সেই বিষয়েও ভবিষৎ পরীক্ষার্থীদের দিশা দেখিয়েছেন মৃন্ময়ী। তাঁর কথায়, দুটির প্রস্তুতিই একসঙ্গে শুরু করা উচিত। অপশনাল পেপার প্রিলি-তে না থাকলেও প্রথম থেকেই অপশনাল পেপারের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
মৃন্ময়ীর মতে, ইন্টারভিউ-তে বসার কথা ভেবেই কোনো পরীক্ষার্থীর প্রথম থেকে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। আগামীদিনে যারা মৃন্ময়ীর মতো স্বপ্ন পূরণ করতে চান, তাহলে তাঁর মতো করে নিজেকে প্রস্তুত করুন। সাফল্য নিজে থেকেই ধরা দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন