সমকালীন প্রতিবেদন : আমাদের সৌরজগতে অনেক ছোট বড় গ্রহ রয়েছে। আর এই সবকটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে নির্দিষ্ট কক্ষপথে। তবে এত গ্রহের মাঝে শুধুমাত্র পৃথিবীতেই কিন্তু প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। যদিও পৃথিবীর এই জীবকূলের অস্তিত্বের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে সূর্যের।
আর এই সূর্যের পেটে প্রতিনিয়ত চলছে নিউক্লিয় বিক্রিয়া। গনগনে আগুনের সেই বিক্রিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে তাপ উৎপন্ন হচ্ছে। তার জেরেই সূর্য ‘বেঁচে’ আছে। একইসঙ্গে বেঁচে রয়েছে পুরো সৌরজগৎ। সবথেকে বড় বিষয় হল, সূর্যের জন্য আমরাও বেঁচে রয়েছি।
কিন্তু এই সব তাপ যদি ফুরিয়ে যায়, তাহলে কি হবে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের তেজ ফুরিয়ে গেলে সূর্য ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’-এ পরিণত হবে। গবেষকদের দাবি, এই সময় আমাদের পৃথিবীও রেহাই পাবে না। ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’-এ পরিণত হওয়ার আগেই পৃথিবীকে গিলে খাবে সূর্য।
আর কয়েকশো কোটি বছরের মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে পৃথিবীতে ততদিনে প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে কালের নিয়মে। তাই এই ধ্বংসলীলা দেখার জন্য ততদিন আর কেউ বেঁচে থাকবে না।
তবে ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’ হওয়ার আগেই সূর্য পৃথিবীকে গিলে খাওয়ার কারণ, সূর্য আকার–আয়তনে বাড়তে থাকবে। সেই বর্ধিত আয়তন ধীরে ধীরে গ্রহগুলিকে গিলে ফেলবে। যার মধ্যে অন্যতম আমাদের পৃথিবীও। শুধু যে পৃথিবীর এই দশা হবে, তা নয়।
অন্যান্য গ্রহদেরও একই দশা হবে বলে জানিয়েছে ওই গবেষণা। পৃথিবীর পাশাপাশি একই অবস্থা হবে বুধ ও শুক্র গ্রহেরও। এই ঘটনার পর কি ঘটবে, সে কথাও জানিয়েছেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন যে, সূর্য যখনই ‘হোয়াইট ডোয়ার্ফ’এ পরিণত হবে, তখন তার কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ আকর্ষণ বল তৈরি হয়।
এই আকর্ষণ বলের জোরে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহগুলি খন্ডে খন্ডে ভেঙে যাবে। এমনকি চাঁদ ও পৃথিবীর আশেপাশে ভ্রাম্যমান মহাজাগতিক বস্তুগুলির একই দশা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন