সমকালীন প্রতিবেদন : দলত্যাগ বিরোধী আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেলেন বিশ্বজিৎ দাস। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তার আগেই শুক্রবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিশ্বজিৎ দাস।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিনের এই তৃণমূল বিধায়ক তথা নেতা বিজেপিতে যোগদান করেন। আর তাঁর এই দলত্যাগ নিয়ে সেই সময় রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়।
বিজেপির টিকিটে বাগদা থেকে বিধায়ক হওয়ার কিছুদিন পরে অবশ্য তিনি তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসেন। আর তখন থেকেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়, বিশ্বজিৎ দাস যেহেতু বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছেন, তাই তাঁকে ইস্তফা দিয়ে নতুন করে ভোটে দাঁড়াতে হবে।
এরই মধ্যে চলে আসে লোকসভা নির্বাচন। আর এই লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অথচ তিনি খাতা–কলমে বিজেপির বিধায়ক হিসেবে রয়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে তাঁর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা তৈরি হয়।
অবশেষে সমস্ত জটিলতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিশ্বজিৎ দাস। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভা ভবনে সরাসরি হাজির হয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধায়ক হিসেবে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিলেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ইস্তফাপত্র দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেন এবং তা গ্রহণ করেন।
এদিন সকালে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিশ্বজিৎ দাস। তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, 'বিজেপি একটি উশৃঙ্খল দল। সেখানে ভালো মানুষ থাকতে পারে না।' তিনি দাবি করেন, 'বিধায়ক হিসেবে বাগদায় তিনি যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এত কাজ কেউ করেননি।'
একাধিকবার তৃণমূলের বিধায়ক এবং একবার বিজেপির বিধায়ক হিসেবে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিশ্বজিৎ দাসের। এবার লোকসভা নির্বাচন। সেখানে তিনি কতটা সফল হন, এখন সেটাই দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন