সমকালীন প্রতিবেদন : বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। তবে এরই মধ্যে দেশজুড়ে সম্পন্ন হলো প্রথম দফার ভোটপর্ব। মোট ২১ টি রাজ্য ও ১০২ টি আসনে ভোটপর্ব চললো আজ।
প্রথম দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৬০০ জনের বেশি প্রার্থী। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটদান পর্ব, যা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে জানা গিয়েছে, বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের মধ্যেই প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৬.৬৩ কোটিরও বেশি।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮.৪ কোটি এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮.২৩ কোটি। অন্যদিকে, প্রথমবারের জন্য ভোট দেবেন এমন সংখ্যা ছিল ৩৫.৬৭ লাখ। এর মধ্যে ২০ থেকে ২৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩.৫১ কোটি। ভোটের জন্য ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল।
প্রথম দফার নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসন, রাজস্থানের ২৫টি আসনের মধ্যে ১২টি, ইউপির ৮০টি আসনের মধ্যে ৮টি এবং মধ্যপ্রদেশের ৬টি আসনে ভোটপর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের ৫টি, অসমের ৫টি, উত্তরাখন্ডের ৫টি, বিহারের ৪টি, বাংলার ৩টি, মেঘালয়ের ২টি, অরুণাচল প্রদেশের ২টি এবং মণিপুরের ২টি আসনে ভোট হয়েছে।
এছাড়াও, পুদুচেরি, মিজোরাম, ছত্তিশগড়, জম্মু ও কাশ্মীর, লাক্ষাদ্বীপ, সিকিম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড এবং আন্দামান ও নিকোবরে ১টি করে আসনে ভোট হয়েছে।যদিও প্রথম দফায় কিছুটা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে উত্তরবঙ্গ। এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোটপর্ব সম্পন্ন হয়নি।
নজরে এসেছে বিক্ষিপ্ত হিংসা, চলেছে গুলি। মণিপুরে গুলি চলার পাশপাশি ইভিএম মেশিনেও ভাংচুর করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট শুরু হলেও শান্তি বজায় থাকল না। প্রথম দফার ভোটে মনিপুর সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উত্তপ্ত ছবি ধরা পড়েছে কোচবিহারের শীতলকুচি, ভেটাগুড়ি, চান্দামারি, সীতাই, তুফানগঞ্জের মতো একাধিক জায়গায়। এই তালিকায় রয়েছে জলপাইগুড়িও। এই জেলার ডাবগ্রাম, ফুলবাড়িতে অশান্তির ছবি দেখতে পেয়েছেন সকলেই। কোথাও ছোড়া হয়েছে গুলি, আবার কোথাও পাথর। কমবেশি উত্তেজনা ও অশান্তির মধ্যেই শেষ হয়েছে প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ৩ টের মধ্যে প্রায় ৬৬.৩৪% ভোট পড়েছে বাংলায়। ত্রিপুরায় ভোটের পরিমাণ ৬৮.৩৫ শতাংশ। অসমে ৬০.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্যদিকে, বেলা তিনটে পর্যন্ত সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বিহারে, প্রায় ৩৯.৭৩ শতাংশ। রাজ্যের তিন জেলার মধ্যে আলিপুরদুয়ারে ভোটের পরিমাণ ৬৬.২৩ শতাংশ, জলপাইগুড়িতে ৬৭.২৮শতাংশ, কোচবিহারে ৬৫.৫৪ শতাংশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন