সমকালীন প্রতিবেদন : আজকাল ইউটিউব ভিডিও তৈরিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। বিপুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এই পেশায় রোজগারও হয় মোটা টাকা। আর বাঙালি ইউটিউবার হিসেবে বেশ খ্যাত বং গাই বা কিরণ দত্ত। বর্তমানে তাঁর জনপ্রিয়তা কোনও টলিউড সেলেবদের থেকে কম কিছু নয়
জনপ্রিয় এই ইউটিউবারকে কম বেশি সকলেই চেনেন। কিরণ দত্ত সব ইউটিউবারদের মধ্যে অন্যতম। স্বভাবতই আয়ও কম নয় কিরণের। তবে কিরণের যাবতীয় আয় তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢোকে না। তাহলে যায় কোথায়। সেই কথাও নিজেই খোলসা করেছেন কিরণ দত্ত।
রিয়্যালিটি শো দিদি নম্বর ওয়ানে এসে কিরণের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সব টাকা আসলে কোথায় গিয়ে জমা হয়। কিরণের কথায়, ইউটিউব থেকে প্রথম উপার্জন হিসেবে তাঁর পকেটে আসে ৭ হাজার টাকা। তখন নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ছিল না কিরণের।
সেই কারণে তাঁর মা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেলটি লিঙ্ক করিয়ে দেন। অর্থাৎ সোজা কথায়, ছেলের উপার্জনের টাকা কিরণের মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢুকবে। মায়ের কথা কিন্তু আজও পালন করেন কিরণ।
বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা, গাড়ি-বাড়ি সব করলেও আজও তাঁর সব টাকা মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢোকে। প্রসঙ্গত, কিরণ দত্তকে নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাঁর মজাদার কনটেন্ট নেটিজেনদের মন জয় করেছে। ইতিমধ্যে সিনেমাও করে ফেলেছেন বং গাই।
কলকাতা চলন্তিকা নামে এক সিনেমায় দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল কিরণকে। তাঁর ফ্যান ফলোয়ার্সদের সংখ্যা আচ্ছা আচ্ছা তারকাদেরও হার মানায়। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়েই কিরণ নিজের ফ্ল্যাট-গাড়ি করেছেন।
সবকিছু হলেও আজো নিজের রোজগারের টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নেন না বং গাই। তার কারণটা নিশ্চয়ই এবার পরিষ্কার! কিন্তু কিরণ দত্ত ঠিক কত টাকা রোজগার করেন, তা এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার করে জানাননি তিনি। এর আগে দু'একবার এই বিষয়ে মুখ খুললেও রোজগারের অঙ্কটা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেই দিয়েছেন।
তবে অনেকেই মনে করেন যে, মাসে লাখ লাখ টাকা রোজগার করেন এই ইউটিউবার। তবে রোজগারের অঙ্ক নয়, তাঁর উদ্যোগের থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া দরকার, যা আগামী প্রজন্মকে দিতে পারে নতুন কোনও দিশা।
সত্যি অবাক করা ব্যপার। কার টাকা কোথায় ঢুকছে সেটাও আপনাদের খবর করার বিষয়? ?????
উত্তরমুছুন