Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

বনগাঁ সাব ডিভিশনাল চেম্বার অব কমার্সের ৪৫তম সম্মেলন

 ‌

45th-Conference

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌কেন্দ্রীয় সরকারের ট্যাক্স জটিলতার কারণে সমস্যায় পরছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এর পাশাপাশি, বনগাঁ শহরে অপরিসর রাস্তা, যাটজটের প্রভাবও পড়ছে ব্যবসার উপর। এব্যাপারে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

রবিবার বনগাঁ সাব ডিভিশনাল চেম্বার অব কমার্সের ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই দাবিতে সরব হলেন ব্যবসায়ীরা। এদিনে সম্মেলনে সংগঠনের সদস্য, কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা, ব্যবসায়ী সংগঠন এফটিওপি–র সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ কোলে, কার্তিক সিংহ প্রমুখ।

বনগাঁ সাব ডিভিশনাল চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক বিনয় সিংহ অভিযোগের সুরে বলেন, 'জিএসটি চালু করার আগে সরকার পক্ষ বলেছিল, জিএসটি দিলে ব্যবসায়ীদের আর অন্য কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। কিন্তু বাস্তবে জিএসটিও দিতে হচ্ছে, সঙ্গে অন্যান্য ট্যাক্সও দিতে হচ্ছে। এর থেকে মুক্তি চান ব্যবসায়ীরা।'

বনগাঁ শহরে যানজট একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এসম্পর্কে এদিন বিনয় সিংহ বলেন, '৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অর্থাৎ যশোর রোড অপরিসর হওয়ার কারণে বনগাঁ শহরে প্রায় সময়েই যানজট লেগে থাকে। এর পাশাপাশি, রাত ১০টার পর বর্হিবানিজ্যের ট্রাকের কারণে ‌পথ চলা দায় হয়ে পড়ছে।'‌

এই প্রসঙ্গে এদিন পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, 'কেন্দ্র সরকারের ভুল নীতির কারণে বিশেষ করে বনগাঁর ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। আর কেন্দ্র সরকার যশোর রোড সম্প্রসারণের ব্যবস্থা না করায় যানজট নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তার মধ্যেও পুরসভার পক্ষ থেকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি না করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে পুরসভা।'‌

এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত অল বেঙ্গল ট্রেড এন্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি কার্তিক সিংহ বলেন, 'ভারতের সংসদীয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি থাকা উচিৎ। দৈনিক ৪০০ টাকা রোজগার করেন, এমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা কর্মীদের ৬০ বছরের পর পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।' 

তিনি আরও বলেন, 'ব্যবসায়ীদের ট্যাক্সের টাকায় দেশ চলে। ফলে সেই ব্যবসায়ীদের উপর নানা ধরণের ট্যাক্স চাপিয়ে দিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করা হয়েছে। ট্যাক্সের সরলীকরণ প্রয়োজন। রাজ্য হোক বা কেন্দ্র– সব ক্ষেত্রেই সরকারি চাকরির হাহাকার। এক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতায় দেশে উৎপাদনক্ষেত্র বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন ব্যবসায়ীরাই।'






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন