Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কবে আবার চাঁদের বুকে ছুটে বেড়াবে প্রজ্ঞান?

Progyan-will-run

সমকালীন প্রতিবেদন : গত ২৩ আগস্ট সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩। ইসরো জানিয়েছিল, এক চন্দ্রদিনের আয়ু নিয়ে চাঁদে গিয়েছে বিক্রম ‌এবং প্রজ্ঞান। ফলে নিয়ম মেনেই 'দিন ফুরিয়ে' এসেছে তাদের। প্রথমে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছিল, ল্যান্ডার এবং রোভারকে ঘুম পাড়ানোর প্রক্রিয়া দু'এক দিনের মধ্যেই শুরু করা হবে। তবে শনিবার রাতেই তাঁদের সেই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিক্রমের গর্ভে ঘুমিয়ে পড়েছে রোভার প্রজ্ঞান। 

তাহলে কি শেষ হয়ে গেল চন্দ্রযান ৩ মিশন? ইসরো আগেই জানিয়েছিল, এক চন্দ্রদিনের আয়ু নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বে প্রথম পা রেখেছিল ল্যান্ডার বিক্রম, পেটের ভিতর ছিল রোভার প্রজ্ঞান। পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস। চাঁদে এই ১৪ দিনই সূর্যের আলো থাকে। 

অর্থাৎ, চাঁদে এক দিন সম্পন্ন হয় পৃথিবীর ১৪ দিনে। তার পর সূর্য ডুবে যায়। আর সূর্যের আলো ছাড়া এক্কেবারে অকেজো ভারতের এই নভোযান। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর যন্ত্রপাতিগুলির শক্তির মূল উৎস সূর্য। সৌরশক্তিতে কাজ করছে তারা। ফলে সূর্য ডুবে গেলে বিক্রম বা প্রজ্ঞানের সমস্ত যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়ার কথা। তাদের আয়ু মাত্র ১৪ দিন। ফলে নিয়ম মেনেই ‘দিন ফুরলো’ বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের। 

এই বিষয়ে গতকাল ইসরো জানিয়েছে, রোভারের অ্যাসাইনমেন্ট সমাপ্ত হয়েছে। এবার সেটিকে যথাযথভাবে পার্ক করা হয়েছে। এবার সেটি স্লিপ মোডে চলে যাবে। ইতিমধ্যে বিক্রমের দুটি পে-লোডকে বন্ধ করা হয়েছে। 

এই পে-লোডগুলি থেকে ডেটা ল্যান্ডারের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসবে। যদিও ব্যাটারি ফুল চার্জ রয়েছে। আগামী সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সোলার প্যানেলগুলিও তাঁদের কাজ শুরু করে দেবে। 

২২ সেপ্টেম্বর ফের জেগে উঠবে রোভার। সকলেই আশা করছি, সে দিন ঘুম ভেঙে ফের নিজের মেজাজেই ফিরবে রোভার। তা যদি না হয়, তবে চিরকালের জন্য হয়তো ভারতের লুনার অ্যাম্বাসেডার হয়ে চাঁদের বুকেই থেকে যাবে সে। 

তবে দক্ষিণ মেরুর ঠান্ডা সামলে ফের কি সূর্যের আলোয় জেগে উঠতে পারবে প্রজ্ঞান? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন