সমকালীন প্রতিবেদন : এ কেমন ভোট? কেমন গণতন্ত্রের উৎসব? ধিক্কার নাগরিক মহলের। ছাড় পেলেন না মহিলা ভোট কর্মীরাও। মহিলারা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই মহিলা পরিচালিত বুথের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর ভোটের দিন দেখা গেল, সেরকমই একটি বুথে বসে কাঁদছেন খোদ মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার।
বুথে ঢুকে যেভাবে অবাধে ছাপ্পা চলেছে, তাতে ভয়েই কাঁদছেন ওই মহিলা ভোট কর্মী। কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী? কোথায় পুলিশ? কাউকেই দেখতে পাননি তাঁরা। বন্ধ হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে দেখা গেল সেই ছবি।
ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের ১০ নম্বর বুথের ঘটনা। ত্রাস ছড়িয়েছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। ভোট শুরু থেকেই দুষ্কৃতীদের তান্ডব শুরু হয়েছে। সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার সময় সব ঠিকই ছিল। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর হঠাৎ বুথে ঢুকে পড়ে একদল লোক।
কোনও এক রাজনৈতিক দলের অন্তত ৫০-৬০ জন কর্মী বুথে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তারপর চলে দেদার ছাপ্পা। নিরাপত্তার জন্য লাগানো সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। কার্যত অসহায় বোধ করেন ভোটকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় ভোট গ্রহণ।
সেক্টর অফিসে জানানোর ২ ঘণ্টা পরেও বুথে কারও দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। বুথে একজন মাত্র সশস্ত্র পুলিশ ছিল। বুথের বাইরে লম্বা লাইন থাকা সত্ত্বেও ভোটগ্রহণ শুরু করতেই পারেননি তাঁরা। বুথের মহিলা কর্মীরা আশাহত।
সিসিটিভি নেই, আশপাশে নেই পুলিশও। কী করবেন বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে অবাধে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ব্যালট। এই গনতন্ত্রের উৎসব মানুষ চান নি। মানুষ উৎসবের মেজাজে ভোট দেবেন– তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যতই এমন বার্তা দেওয়া হোক না কেন, বাস্তবে তা কিন্তু হয় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন