সমকালীন প্রতিবেদন : কথায় বলে 'কারো পৌষমাস, তো কারো সর্বনাশ'। টমেটোর দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের জীবন শেষ। আবার অনেক টমেটো ব্যবসায়ী বিস্তর লাভ করে নিয়েছেন এই সময়কালে। টমেটোর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি যেখানে ক্রেতাদের হাতে ছ্যাঁকা দিচ্ছে, হেঁশেলে লেগেছে আগুন, সেখানে টমেটোর বিক্রি করে কোটিপতি কৃষকদের কথা জানা যাচ্ছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে।
মহারাষ্ট্রের পর এবার তেলেঙ্গানার কৃষকও টমেটোর দামের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। পড়াশোনা করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে– এটাও এক্ষেত্রে মানানসই নয়। তেলেঙ্গানার মেদকের কৌড়িপল্লী গ্রামের বছর চল্লিশের কৃষক বি মহীপাল রেড্ডি। জুনের ১৫ তারিখ থেকেই চড়া দামে টমেটো বেঁচে তিনি আয় করেছেন ১.৮ কোটি টাকা। মাত্র মাসখানেকের মধ্যেই।
অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে টমেটোর আমদানি কম ছিল হায়দরাবাদের বাজারে। একশো টাকার উপর উঠে গিয়েছিল দর। এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকে ৮ একর জমিতে টমেটো চাষ শুরু করেন। ফসল তুলতে শুরু করেন জুনের ১৫ তারিখ থেকে। বৃষ্টিতে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও এখনও যা টমেটো রয়েছে, তাতে ২ কোটি টাকা ঘরে ঢুকবে বলে আত্মবিশ্বাসী ওই কৃষক।
১০০ একর জমির ৪০ একরে টমেটো সহ অন্যান্য সবজি চাষ করেন। ইতিমধ্যেই ২৫ কেজি ওজনের ৭ হাজার বাক্স টমেটো বিক্রি করেছেন। মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার জুন্নার তহশিলের পাঁচঘর গ্রামের কৃষকও সম্প্রতি টমেটো বেঁচে কোটিপতি হয়েছেন। তাঁর নাম ঈশ্বর গেকর। এক মাসে তিনি ৩ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।
গত মে মাসেও প্রচুর টমেটো ফলিয়েও দাম কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন তিনি। যদিও তাতে না দমে গিয়ে ১২ একর জমিতে টমেটো চাষ চালিয়ে যান। লেগে থাকার সুফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ১১ জুন থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যেই টমেটো বেঁচে ৩ কোটি টাকা আয় করে চমক দিয়েছেন ঈশ্বর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন