সমকালীন প্রতিবেদন : পালাবদলের পর থেকেই একাধিকবার ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ধাক্কা খেয়েছে। এবার রাজনৈতিক প্রভাব পড়ল ক্রিকেটেও। ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সফরে গিয়ে ভারতকে ১৭ আগস্ট থেকে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে বলে ঠিক হয়ে রয়েছে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সফর হওয়ার সম্ভাবনা কমই দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-এর পক্ষ থেকে এই সফর নিয়ে বড় আপডেট সামনে এসেছে।
সম্প্রতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসন্ন সীমিত ওভারের সিরিজ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড তাদের সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আমিনুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেছেন, যদি তারা আগস্টে ভারতের সঙ্গে সিরিজ না করতে পারেন, তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই ভারতের আতিথেয়তার ব্যবস্থা করবেন।
৩০ জুন শের-এ- বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১৯তম বোর্ড মিটিংয়ের পর বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বিসিসিআই-এর সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। এটা আবশ্যক নয় যে আমরা আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেই সিরিজ করাব, আমরা আলোচনা করছি কীভাবে সিরিজটি আয়োজন করা যায়। যদি এখন না-ই হয়, তবে অন্য কোনও সময়ে এটি হবে। বিসিসিআই তাদের সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির কথা থেকে স্পষ্ট, তাঁরা আন্দাজ পেয়েছেন যে নির্ধারিত সূচি মেনে সিরিজ হয়তো হবে না। অর্থাৎ, এখনই ভারত সরকার দলকে সে দেশে পাঠাবে না। কিন্তু ভারত খেলতে না গেলে বাংলাদেশ বোর্ডের অনেক ক্ষতি হবে। তাই যেভাবেই হোক সিরিজ করাতে চাইছে তারা। সেই কারণেই বিকল্প ভাবনা ভাবছে বোর্ড।
গত বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। গত মাসে টেস্ট থেকেও অবসর নিয়েছেন তাঁরা। ভারতের হয়ে তাঁরা এখন শুধু একদিনের ম্যাচ খেলবেন। বাংলাদেশে ভারত খেলতে গেলে একদিনের দলে বিরাট ও রোহিতকে দেখা যেত। কিন্তু তাঁদের বাংলাদেশে খেলতে দেখা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দিন দিন বাড়ছে। এখন দেখার, এই সিরিজ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন