Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

দারিদ্রের তালিকায় প্রথম দিকে কোন কোন দেশ ? ভারতের স্থান কততম ?

 

Countries-on-the-poverty-list

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর বার্ষিক র‌্যাঙ্কিংয়ের সর্বশেষ সংস্করণে জিম্বাবুয়ে সবচেয়ে গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যানকে তালিকা প্রকাশ করেছেন, যা দেশগুলির আর্থিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়েছে।  

ভারতও সার্ভে করা ১৫৬টি দেশের মধ্যে একটি স্থান পেয়েছে, তবে বেশ পেছনদিকে। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কা, আর্জেন্টিনা এবং ইউক্রেনও শীর্ষস্থানীয় দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে উঠে এসেছে।

আকাশছোঁয়া মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাপক বেকারত্ব এবং পঙ্গু ঋণ– এই তালিকার শীর্ষে থাকা জিম্বাবুয়ের অবস্থানকে দায়ী করে। গত কয়েক বছর ধরে মুদ্রাস্ফীতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে, যা এখানকার নাগরিকদের অর্থনৈতিক সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

বেকারত্বের সঙ্গে দেশের লড়াই চ্যালেঞ্জগুলিকে আরও জটিল করে তোলে। যার ফলে অনেকের আয়ের স্থিতিশীল উৎস নেই। আর সেই কারণেই জিম্বাবুয়ে একটি বিশাল পরিমাণ ঋণের বোঝায় চাপা পড়েছে, যা তার আর্থিক নিম্নগামী ধাক্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকায় অবস্থিত ভেনিজুয়েলা, যেটা ক্রমাগত তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়া। দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের পরিণতি সহ্য করতে করতে এর অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কাও এক ব্যাপক আর্থিক সংকটের সম্মুখীন। দেশটি ২০২২ জুড়ে সংগ্রাম করেছে। যার ফলে দু:‌স্থ দেশগুলির মধ্যে ১১ নম্বরে স্থান পেয়েছে। এই সংকট ভারতের উপরও প্রভাব ফেলেছে। যার ফলে এটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে খানিক আশার বিষয় এই যে, ভারতের নাম তালিকার অনেক নিচের দিকেই আছে।

: এই খবরের ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :


ইউক্রেন, যেটি রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে তার অর্থনীতিতে একটি পঙ্গু আঘাতের সম্মুখীন হয়েছিল, সেই দেশ দশম স্থান দখল করেছে। সংঘাতের পরের ঘটনা ইউক্রেনের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। এদিকে, ভারত তালিকার নীচের দিকে রেখে ১০৩ তম স্থানে রয়েছে। ভারতের এই ব়্যাঙ্কিং এর কারণ প্রাথমিকভাবে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত বিরাজমান বেকারত্বের সমস্যাকেই ধরা হচ্ছে।

তালিকার নীচে আমরা সুইজারল্যান্ডকেও খুঁজে পাই, যেটি কিনা এমন একটি দেশ যে, তার শক্তিশালী অর্থনীতি এবং উচ্চ জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত। শেষের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানটি কুয়েতের দখলে রয়েছে। তালিকার শেষের কাছাকাছি থাকা অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে জাপান, আয়ারল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ড, যারা তাদের তুলনামূলকভাবে সুস্থ অর্থনৈতিক আবহাওয়ার জন্য স্বীকৃত।

এই তালিকার প্রকাশনা দুর্দশাগ্রস্ত দেশগুলির মুখোমুখি হওয়া অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলার প্রচেষ্টার জরুরী প্রয়োজনকে তুলে ধরে। গোটা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং উন্নয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তখন এই ধরনের তথ্যগুলির প্রয়োজনীয়তার কথা মনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে কোনও জাতি সমৃদ্ধির সাধনায় পিছিয়ে না থাকে।






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন