সমকালীন প্রতিবেদন : শনিবার নানাভাবে নতুন বাংলা বর্ষকে বরণ করে নিলেন বনগাঁর মানুষ। একদিকে পুরসভার উদ্যোগে বর্ষবরণ, অন্যদিকে ডায়মন্ড ক্লাবের মতো ক্লাব সংগঠনগুলিও নববর্ষের উৎসবে মেতে উঠলো। বর্ণময় অনুষ্ঠানে সাজিয়ে তোলা হল এদিনের অনুষ্ঠানগুলিকে।
পয়লা বৈশাখ মানে একদিকে নতুন বাংলা বর্ষকে স্বাগত জানানো। অন্যদিকে, গণেশ পুজোর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের নতুন বছরের হিসেব নিকেশের সূচনা। সমৃদ্ধির সেই দেবতা গণেশ এবং লক্ষ্মীর বিশাল কাটআউট সহযোগে এদিন সকালে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করলো বনগাঁ পুরসভা।
তার আগে ইছামতী নদীকে বাঁচিয়ে রাখতে, তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলে ইছামতী নদীকে বরণ করা হয়। নতুন বছরের সূর্যদয়ের মাধ্যমে বনগাঁর মানুষের মঙ্গল কামনা করা হয়। পুরপ্রধান গোপাল শেঠ বলেন, আমরা চাই, ইছামতী নদী গঙ্গার সঙ্গে মিশে গিয়ে আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক।
এবছরও বনগাঁর বসাকপাড়ার ডায়মন্ড ক্লাবের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়। এদিন সকালে পাড়ার মহিলারা লাল পাড়ের শাড়ি পরে হাতে কুলো নিয়ে নদীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে ইছামতী নদীকে বরণ করে নেন।
এরপর নদীর পাড়ে তৈরি মঞ্চে সেই বরণডালাগুলিকে সাজিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে গান, নাচ, আবৃত্তির মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। এবারের বৈশাখী কথনে অংশ নিয়েছিলেন অলক বিশ্বাস, নারায়ণ মন্ডল এবং স্বপন চক্রবর্তী।
পুরনো নিয়ম মেনে এবারের তৃতীয় বর্ষের অনুষ্ঠানেও বাংঙালির গ্রামীন ঐতিহ্য পান্তাভাতের আয়োজন করা হয়েছিল। পাড়ার বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের আলুভাতে, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, ডালের বড়া, জিলিপি সহযোগে সেই পান্তাভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন