Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩

বনগাঁ মহকুমা জুড়ে প্রবল ঝড়–বৃষ্টি, বাজ পড়ে মৃত্যু দুই ব্যক্তির

 

Heavy-rain

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌দুপুরে হঠাৎ করেই আকাশ কালো করে নেমে এলো অন্ধকার। শুরু হল ঝড়। আর তারপরই প্রবল বেগে শুরু হল বৃষ্টি। শুধু বৃষ্টি নয়, সঙ্গে শিলও পরল যথেষ্ট পরিমাণে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা সহ রাজ্যের অনেক জেলাতেই এই চিত্র দেখা গেল। বাদ যায় নি বনগাঁ মহকুমাও।

গত কয়েক দিনের প্রবল তাপপ্রবাহে নাজেহাল হয়ে পরেছিলেন রাজ্যের মানুষ। ফলে একটু বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো তাকিয়েছিলেন সবাই। অবশেষে সেই স্বস্তির বৃষ্টি এলো। কালবৈশাখীর ঝড় সহ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুরু হল প্রবল শিলাবৃষ্টি।

বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও শিলাবৃষ্টির কারণে ক্ষতি হল ফসলের। বিশেষ করে গাইঘাটার আমচাষিদের। এদিন দুপুরে বনগাঁ মহকুমা জুড়েই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। তবে গাইঘাটার কিছু এলাকায় ঝড়ের দাপট ছিল তুলনায় অনেকটা বেশি। স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পরেছে ক্ষেতের ফসলে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুরে শিয়ালদা–বনগাঁ রেলশাখার সংহতি স্টেশনের কাছে ধান কাটার কাজ করছিল। এইসময় আচমকাই সেখানে বাজ পরে। আর তাতেই মৃত্যু হয় মিলন বিশ্বাস এবং ধীরাজ শর্মা নামে ওই দুই ব্যক্তির। তাঁদের বাড়ি বেড়গুমের পালপাড়া এলাকায়।  

গাইঘাটার সুটিয়া এলাকার এক কৃষক পরিমল মন্ডল জানালেন, এদিন বিকেল পৌনে ৪ টে নাগাদ তাঁদের এলাকায় একপ্রকার মিনি টর্ণেডো বয়ে যায়। প্রবল ঝড় এবং শিলাবৃষ্টিতে তাঁর নিজের জমির ভুট্টা, পেঁপে, তিল, ধান ইত্যাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাঁর মতো এলাকার অন্যান্য কৃষকেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

গাইঘাটার প্রায় সমস্ত এলাকার পাশাপাশি এদিন বনগাঁ শহরেও প্রবল ঝড় এবং সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। এদিন দুপুরে আকাশের চারদিক মেঘে ঢেকে যায়। শুরু হয় ঝড়। আর তারপর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি। অনেক জায়গাতেই শিল পরতে শুরু করে। ঝড় শুরু হওয়ার আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ পরিষেবা।









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন