Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩

বাঁকুড়া ছেড়ে হাতির দল গেল পশ্চিম মেদিনীপুরে

 

Elephant-group

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌‌গত প্রায় চার মাস ধরে বাঁকুড়ার জঙ্গল এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল একটি বুনো হাতির দল। মাঠের ধান খেয়ে তছনছ করে দিচ্ছিল। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছিল বাসিন্দাদের। সেই হাতির দল এখন প্রবেশ করলো পশ্চিম মেদিনীপুরে।


বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই দলটিতে প্রায় ৭০টি হাতি রয়েছে। হাতির দলটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর বনবিভাগের এলাকা অতিক্রম করে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পরেছে। দল থেকে আলাদা হয়ে পরা কয়েকটি হাতি এখনও অবশ্য বাঁকুড়ায় রয়েছে। এবার তাদের নিয়ে চিন্তায় বনদপ্তর। 

উল্লেখ্য, খাদ্যের সন্ধানে হাতির দল মাঝেমধ্যেই দলমা রেঞ্জের পাহাড়, জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পরে। লোকালয়ে এসে তারা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পরে। মূলত জমির ধান খেয়ে তছনছ করে। ক্ষতিগ্রস্থ হন দরিদ্র কৃষকেরা। অনেক সময় হাতির আক্রমনে প্রাণহানী বা জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটে।  

এভাবেই মাস চারেক আগে মাঠে আমন ধান পাকার সময় খাবারের খোঁজে দফায় দফায় প্রায় ৮০টি হাতির একটি দল বাঁকুড়ায় চলে আসে। বিষ্ণুপুর বনাঞ্চল, বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বিভিন্ন জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে হাতিগুলি। জেলা জুড়ে শুরু হয় হাতির তাণ্ডব। 

বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকা দাপিয়ে অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে রওনা দিতে শুরু করে ওই হাতির দলটি। এর মধ্যে প্রথমে ৭০টি হাতির দল বাঁকুড়া জেলার সীমানা পেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়ে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। 

বাকি হাতিগুলির মধ্যে বড়জোড়া রেঞ্জে ৪টি, বেলিয়াতোড় রেঞ্জে ৪টি এবং সোনামুখী রেঞ্জে ১টি হাতি রয়েছে। এই কটি হাতি মূল দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরায় চিন্তিত বনদপ্তর। কারণ হিসেবে বনদপ্তরের বক্তব্য, হাতিরা সাধারণত আলাদা থাকে না। আর আলাদা থাকলে সে খুব উগ্র হয়ে ওঠে।

বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, '‌হাতির দলটি বাঁকুড়া জেলা থেকে বেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফেরার চেষ্টা করছিল। আমরা কড়া নজরদারির মধ্যে দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে যেতে সাহায্য করেছি। এখনও যে হাতিগুলি বাঁকুড়া জেলায় আছে, সেগুলিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা অভিমুখে রয়েছে। খুব শীঘ্র সেগুলিও বাঁকুড়া জেলার সীমানা পেরিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।'‌ 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন