সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলে নিয়োগ, আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের একাংশের অনৈতিকভাবে জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পরতে হচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে। নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই জেলে কাটাতে হচ্ছে একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে।
এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর তারই মধ্যে কয়েক মাস পর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে নিজেদের ঘর গোছাতে এবং দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে নতুন করে উদ্যোগগ্রহণ করেছে তৃণমূল।
তারই অঙ্গ হিসেবে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' নামে নতুন একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে নতুন অ্যাপ। নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দলের কর্মীরা এলাকার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন কি না, না পেলে যাতে তা পান, তার ব্যবস্থা করা হবে।
শুধু তাই নয়, ১০ দিন ধরে একেকটি এলাকায় ঘুরে সেখানকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রভাবশালী মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, গ্রামের সাধারণ মানুষের বাড়িতে মধ্যান্নভোজ সেরে, গ্রামে রাত কাটিয়ে এই জনসংযোগ সারবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে এই কর্মসূচি পালনে নামবেন তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। চলবে টানা ২ মাস। স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। মুখে স্বীকার না করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূল নেতৃত্ব এই কর্মসূচি কিভাবে কার্যকরী করবে, মঙ্গলবার দলের জেলা নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানালেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।
বিশ্বজিৎ দাস জানান, 'বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ পরিবার রয়েছে। লোক সংখ্যা সাড়ে ১৩ লক্ষের বেশি। এই মানুষদের কাছে পৌঁছে আমরা রাজ্য সরকারের ১৫ টি জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরবো। এখনও যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান নি, তার ব্যবস্থা করা হবে।'
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয়, সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে জন সংযোগ হিসেবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বনগাঁ পুরসভা বাদে সাংগঠনিক জেলার গ্রামীন অঞ্চলের দলের নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন