শম্পা গুপ্ত : আদিবাসীদের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামীকাল, বুধবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার চাক্কা জ্যামের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এর প্রভাব পরবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্যের পুরুলিয়া জেলাতে এর প্রভাব বেশি পরবে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের কলেজ স্থাপন, বীরভূমের দেওচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্প বন্ধ করা সহ মোট ১২ দফা দাবি পূরণের সমর্থনে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলি করে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার তাদের দাবিগুলি পূরণের কোনও ব্যবস্থা না করায় তারা ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। এই চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির ফলে নানা মানুষের নানা সমস্যা হবে জেনে তাঁরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে যে ১২ টি দাবি তুলে ধরা হয়েছে, তারমধ্যে অন্যতম— পুরুলিয়ার ঠুগরা, বান্দো পাম্পড স্টোরেজ প্রকল্প বাতিল করা, বীরভূমের দেওচা পাচামিতে খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল করা, পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন, প্রতি জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমের কলেজ স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হোস্টেলগুলি অবিলম্বে খোলা, সাঁওতালি মাধ্যম স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি।
বুধবার সকাল ৬ টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। তবে জরুরী পরিষেবাকে এই কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি পালনের কথা বলা হলেও মূলত পুরুলিয়া জেলায় এই কর্মসূচির প্রভাব বেশি পরবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আদিবাসী সংগঠনের এদিনের এই কর্মসূচির ফলে পরীক্ষার্থীরা বিপাকে পরতে পারেন। আর সেকথা মাথায় রেখে পুরুলিয়ার সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় বুধবার তাদের নির্ধরিত পরীক্ষাসূচি স্থগিত রেখেছে। এই পরীক্ষা ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আদিবাসী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরুলিয়া জেলার নেতুরিয়া, সাতুঁড়ি, হুড়া, মানবাজার ১, মানবাজার ২, কোটশিলা, দামদা, বরাবাজার– এই সমস্ত এলাকার বিভিন্ন মোড়ে এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে। যদিও জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে তৈরি প্রশাসনও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন