Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩

মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে জখম ৪ বিএসএফ জওয়ান

 ‌‌

4-BSF-jawans-injured

সমকালীন প্রতিবেদন :‌ দুষ্কৃতীদের হামলার ঘটনায় এক মহিলা কর্মী সহ জখম হলেন ৪ জন বিএসএফ জওয়ান। তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর। একইসঙ্গে বিএসএফ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর মাদক। পাচারকারীরা বিএসএফ ক্যাম্পেও হামলা চালায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্তে।

বাগদার মামাভাগিনা সীমা চৌকির বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের কাছে বিশেষ সূত্রে খবর আসে যে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য বাগদারই নওদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মন্ডল, সুখদেব মন্ডল, সুকুমার মন্ডল এবং পবিত্রা মন্ডলের বাড়িতে প্রচুর মাদক মজুত করে রাখা হয়েছে।

সেই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৮ টা নাগাদ এই বাড়িগুলিতে তল্লাসী চালানো হয়। আর তখন আলমগীর মন্ডলের বাড়ি থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা ও ৩৭১ বোতল ফেনসিডিল আটক করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় আলমগীর মন্ডলকে।

বিএসএফের দাবি, মাদক সহ পাচারকারীকে ধরে আনার সময় ধৃত পাচারকারীর সহযোগীরা লাঠি, পাথর দিয়ে বিএসএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আর তাতে এক মহিলা কনস্টেবল সহ মোট ৪ জন বিএসএফ জওয়ান জখম হন।

সেই অবস্থাতেই ঘটনাস্থল থেকে ধৃতকে নিয়ে বিএসএফের মামাভাগিনা ক্যাম্পে হাজির হন জওয়ানেরা। ধৃত আলমগীরকে মুক্তির দাবিতে এরপর গভীর রাতে আলমগীরের ৯ জন সঙ্গী বিএসএফ ক্যাম্পে হাজির হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাতে সিসি ক্যামেরা, রেকর্ডার, কম্পিউটার এবং কন্ট্রোল রুম ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এরপর বিএসএফের অতিরিক্ত দল এবং বাগদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। হামলাকারীদের তাড়া করলে পালিয়ে যায়। এরপর আহত জওয়ানদের বাগদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বিএসএফের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ধৃত আলমগীর মন্ডল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর কাছে মোষ্ট ওয়ান্টেড একজন মাদক পাচারকারী। আলমগীর গত ৬ বছর ধরে মাদক পাচার কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এনসিবি অনেক চেষ্টা করেও এতোদিন তাকে হাতেনাতে ধরতে পারছিল না। 

আটক করা মাদক সহ ধৃত আলমগীর মন্ডলকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এনসিবি এর কলকাতা দপ্তরের হাতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, হামলার ঘটনায় আলমগীরের ৯ সঙ্গীর বিরুদ্ধে বিএসএফের পক্ষ থেকে বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

এই ঘটনা সম্পর্কে বিএসএফের ডিআইজি (‌কৃষ্ণনগর)‌ সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, 'বিএসএফ জওয়ানেরা সীমান্তে সর্বদা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় অপরাধ দমনে সফল হচ্ছেন। বিএসএফের এই সাফল্যের কারণে প্রতিশোধের স্পৃহা নিয়ে জওয়ানদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। বিএসএফের গোয়েন্দা দল ওই হামলাকারীদের সন্ধান করছে।' 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন